রাস্তায় নলকূপের জল ফেলা কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে ভাগ্নেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দুই মামা এবং তাদের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রামশিমুল এলাকায় মঙ্গলবার রাতে মারধরের ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শেখ খেলেল (৫৫)-এর। তিনি এই এলাকারই একটি ইঁটভাটায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন। বুধবার প্রথমে মারধরের অভিযোগ করা হলেও শেখ খলিলের মৃত্যুর পর খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি বিপুল বন্দোপাধ্যায় বলেন, “যাতায়াতের রাস্তায় জল ফেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তর দুই মামা সহ অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই মামা শেখ মাহমুদ ও শেখ কালামের বাড়ির পাশেই বাড়ি মৃত শেখ খেলেলের। তাঁর স্ত্রী হাজরা বিবি ও ৫ ছেলে রয়েছে। দুই বাড়ির যাতায়াতের রাস্তার পাশেই কয়েকমাস আগে নলকূপ বসান মামা শেখ মাহমুদ। জল রাস্তার উপর জমে যাতায়াতে সমস্যা হওয়ায় তা নিয়েই গোলমাল শুরু হয় মামা-ভাগ্নের। মামাদের বারবার বলা হলেও সমস্যা মেটাতে তারা উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে ইঁটভাটা থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় ওই জলকাদায় পড়ে যান ভাগ্নে খেলেল। তিনি মামাদের উদ্দেশ্য করে গালাগালাজ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। সেই সময় মৃতের দুই মামা, দুই মামি ও এক মামাতো বোন বাঁশ দিয়ে খেলেলকে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় রাতেই খেলেলকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় চোট থাকায় চিকিৎসকেরা তাঁকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হলেও নার্সিংহোমের টাকার খরচ জোগাড় করতে না পারায় তাঁকে ফের বাড়ি ফিরিয়ে নেন তাঁর আত্মীয়েরা। এদিন টাকাপয়সা জোগাড় করে তাঁকে ফের শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মৃতের স্ত্রী হাজরা বিবি বলেন, “রাস্তার উপর জল জমে যাতায়াতে অসুবিধা হত বলে স্বামী প্রতিদিনই মামাদের নিকাশির ব্যবস্থা করার কথা বলত। তার জন্য ওঁকে পিটিয়ে মারা হবে ভাবতেই পারছি না।” |