পিচের চাদর বলে কিছু নেই। পাথর বার হয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। ঘটছে আকছার দুর্ঘটনা। তুফানগঞ্জ নাটাবাড়ি যাতায়াতের রাস্তার এমনই বেহাল দশা। ওই রাস্তায় নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, প্রশাসন-সহ কোনও মহলেরই রাস্তার হাল ফেরানোর তাগিদ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাসিন্দাদের পাশাপাশি নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, রাস্তাটি প্রায় দুই বছর থেকে বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রায় ৭ কিমি ওই রাস্তার বেশিরভাগ অংশেরই পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তায় জল জমে থাকছে। নাটাবাড়ির বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, “রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় বাসের সংখ্যা কমেছে। ভ্যান ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে।” |
নাটাবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা ওই রুটের নিত্যযাত্রী রঞ্জিত সেনের কথায়, “রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে আকছার দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমি নিজেও বাইক নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে জখম হয়েছি।” কোচবিহার জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “তুফানগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে রাস্তাটি মেরামতির উদ্যোগ নিতে বলেছি। কাজ হচ্ছে না কেন দেখছি।” তুফানগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি দিপালী রায় বলেন, “ওই রাস্তা মেরামত করার চেষ্টা চলছে। প্রায় ১ কোটি টাকা দরকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।” পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ কর্তাদের পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজেও রাস্তার হাল ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। বিধায়কের অভিযোগ, “বাম জমানা থেকেই রাস্তাটি বেহাল। জেলা পরিষদও ওই রাস্তা সংস্কারে পঞ্চায়েত সমিতিকে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |