আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে মারা গিয়েছে দুই বালিকা। বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের চাঁচলের ধানগাড়া-বিষনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাঙ্গি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে,, মৃত দুই বালিকার নাম লতিফা খাতুন (১১) এবং মুশেরা খাতুন (১০)। লতিফা পঞ্চম ও মুশেরা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। সম্পর্কে তারা মাসতুতো বোন। ঘটনার পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও ভাস্কর মজুমদার বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা। জেলায় সদরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। মৃত দুই বালিকার পরিবার যাতে যথাযথ আর্থিক সাহায্য পায় তা দেখা হচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, মৃত লতিফার বাবা এবং মা দুই জনই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তার পর থেকে লতিফা দাদুর বাড়িতে থাকত। কোলে পিঠে করে নাতনি লতিফাকে মানুষ করেছেন দাদু-দিদিমা। মামাবাড়িতে ঠাঁই হওয়ার পর তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে একবছরের ছোট মাসতুতো বোন মুশেরার। দুই বছর আগে মুশেরার বাবা আবদুল খালেক শ্বশুরবাড়ির পাশেই বাড়ি করে বসবাস শুরু করার পর দুই বোন সর্বক্ষনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। দাদুর বাড়িতেই সারাক্ষণ কাটত তাদের। এদিন সকালে আকাশে কালো মেঘ দেখেই বোন মুশেরাকে ডেকে তড়িঘড়ি আমবাগানে আম কুড়াতে ছুটে যায় লতিফা। ওই বাগানেই শ্রমিকের কাজ করেন তাদের দাদু আবদুল জাব্বার। কিছুক্ষণ বাদে ঝড় শুরু হয়। সঙ্গে বজ্রপাত। গাছ থেকে আম পড়তেই তা লক্ষ্য করে একই জায়গায় ছুটে যায় দুজনে। আম নেওয়ার পরেই বাজ পড়ে দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চোখের সামনে দুই নাতনির এই অবস্থা দেখে জ্ঞান হারান আবদুল জাব্বারও। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আজমল হোসেন বলেন, “প্রায় সমবয়সী হওয়ায় দুই বোন একসঙ্গেই এলাকায় ঘুরে বেড়াত। এই ভাবে ওঁদের মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” মৃত বালিকাদের দাদু আবদুল জাব্বার বলেন, “লতিফার বাবা-মা থেকেও ছিল না। কষ্টের সংসারে ওকে পড়াশুনা করিয়ে বড় করতে চেয়েছিলাম। মুশেরা ওর সর্বক্ষনের সঙ্গী ছিল। চোখের সামনে ওরা চলে যাবে ভাবতে পারছি না।”অন্যদিকে, শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুকধলা গ্রামের একটি চা বাগানে বাজ পড়ে চার জন চা শ্রমিক জখম হয়েছেন। সকাল ৯টা নাগাদ বাগানে কাজ করার সময় তাঁরা আহত হন। এদের মধ্যে দুই জনকে বিধাননগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বাকি দুই জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |