ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় ফেরার তিন আমরি-কর্তার অন্যতম প্রীতি সুরেখার আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চালিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জটিলতার মূলে আছে আমরির ১৩ কর্তার জামিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা একটি আপিল মামলা। তারই জেরে বৃহস্পতিবার প্রীতিদেবীর আর্জি নিয়ে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। এখন ওই শুনানি হবে কি না, সোমবার সেই সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।
গত ৮ ডিসেম্বর শেষ রাতে আমরি হাসপাতালে আগুন লাগায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেখানকার ডিরেক্টর-সহ ১৬ জন কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ। ১৩ জন ধরা পড়লেও আমরির তিন অভিযুক্ত ডিরেক্টর আদিত্য অগ্রবাল, রাহুল তোদি ও প্রীতি সুরেখাকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। আড়ালে থেকেই প্রীতিদেবী আগাম জামিনের আবেদন করেন হাইকোর্টে। ৪ মে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ প্রীতিদেবীর হয়ে সওয়াল
করেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি ফের উঠলে সওয়াল শুরু করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস রায়।
কিন্তু বিচারপতি অসীম রায় তখনই জানিয়ে দেন, আপাতত এই আগাম জামিনের মামলাটির শুনানি হবে না। ঘটনার রাতে আমরিতে যিনি নাইট ইনচার্জ ছিলেন, সেই সাজিদ হোসেন এবং ধৃত অন্য ১২ জন ইতিমধ্যে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তাঁদের জামিন খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে রাজ্য সরকার। জামিনে মুক্ত ১৩ জনের কাছেই রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলার প্রতিলিপি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট ও আলিপুর আদালত যাঁদের জামিনে মুক্তি দিয়েছে, তাঁদের জামিন যথার্থ কি না, শীর্ষ আদালত তা যাচাই করবে। তারা নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখতে পারে, আবার তা খারিজও করে দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তিনি প্রীতিদেবীর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি চালু রাখবেন কি না, এ দিন সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাননি হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায়। |