শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দু’ সপ্তাহ ধরে ডায়েরিয়া আক্রান্ত প্রচুর রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও সংক্রমণ ঠেকাতে শিলিগুড়ি পুরসভা বা জেলা স্বাস্থ্য দফতর তৎপর নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবারও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে অন্তত ১৫ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ দিন হাসপাতালে ডায়েরিয়া আক্রান্ত অন্তত ৪০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। জায়গার অভাবে হাসপাতালে একই শয্যায় এ দিনও ২ /৩ জনকে থাকতে হয়েছে। গত বুধ, বৃহস্পতিবার অনেক রোগিণী এবং শিশুদের মেঝেতেও থাকতে হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী বলেন, “গরমের এই সময় ডায়েরিয়া অনেকেরই হয়ে থাকে। হাসপাতালে কী হারে রোগী আসছেন তা নজরে রাখা হয়েছে। বাসিন্দাদের সচেতন করতে পুরসভার তরফে লিফলেট বিলি করাও হচ্ছে।” তবে শহরের বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে বস্তি এলাকাগুলি থেকে বেশি সংখ্যায় ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডায়েরিয়ায় সংক্রমণের বিষয়টি তাঁরাও নজরে রেখেছেন। স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের ধারণা পানীয় জল থেকেই ডায়েরিয়া ছড়াচ্ছে। কেন না বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জেনেছেন অধিকাংশই পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল খান। পুরসভার তরফে সে কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে পানীয় জল পরীক্ষা করেও দেখা হয়। পরীক্ষা রিপোর্টে জল দূষণের কোনও তথ্য মেলেনি বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। যদিও ডায়েরিয়ার সংক্রমণ নিয়ে এখনও হাসপাতালে রোগীরা আসছেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হাসপাতালে ডায়েরিয়া আক্রান্ত ৮০ জন রোগী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ বিভাগে ভর্তি ছিলেন। বাকিরা মহিলা এবং শিশু। দুপুরে অবশ্য অনেকের ছুটি হয়ে যায়। হাসপাতালে পুরুষ বিভাগে ১৮ টি শয্যা রয়েছে। মহিলা এবং শিশু বিভাগে রয়েছে ২৫ টি শয্যা। স্বাভাবিক ভাবে একই শয্যায় ২/৩ জনকেও থাকতে হয়েছে। ওয়ার্ড অপরিষ্কার থাকায় রোগীর আত্মীয়ের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। |