শিলিগুড়িতে পুরভোট
১৭ জুলাই পুনর্গণনার নির্দেশ দিল আদালত
শিলিগুড়ির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরভোটের পুনর্গণনার নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) শঙ্কর ব্রহ্ম এই নির্দেশ দিয়েছেন। শিলিগুড়ি আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই আদালতেই পুনর্গণনা হবে। গত ২৮ মার্চ অবশ্য আদালত এদিনই ওই ওয়ার্ডের ভোটের পুনর্গণনা হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতো শিলিগুড়ির মহকুমা নির্বাচন দফতরকে ওই ওয়ার্ডের ইভিএম যন্ত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মহকুমাশাসকের নির্দেশে এদিন মহকুমা নির্বাচন দফতরের অফিসাররা ইভিএম যন্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তার আগে বুধবার দার্জিলিং জেলা বিচারকের আদালতে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের ২৮ মার্চ দেওয়া নির্দেশের এক্তিয়ার নির্দেশ প্রশ্ন তুলে আবেদনপত্র দাখিল করা হয়। এদিনও মায়া দেবীর আইনজীবী কবীন্দ্র ভৌমিক, পার্থ চৌধুরী ও শম্পিতা স্যানাল একই আবেদন পেশ করেন এই আদালতে। বিচারক সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ১৯ জুলাই পুনর্গণনার নির্দেশ দেন। আইনজীবী কবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য, “গণনা নিয়ে এই ধরনের মামলার বিচার করতে পারেন কেবলমাত্র জেলা বিচারক। এই আদালতের মামলার শুনানির অধিকারই নেই। তা ছাড়া, গণনা করতে গেলে দু’দলের প্রার্থীর সামনেই সেটা হওয়া দরকার। আমার মক্কেলকে পুনর্গণনার ব্যাপারে কোনও খবরই দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।” মামলায় মহকুমা নির্বাচন কমিশনারের হয়ে হাজির ছিলেন সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ ও মানস সরকার। পীযূষবাবুর দাবি, “জেলা বিচারকই মামলাটি শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করেছেন। এই মামলার ক্ষেত্রে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জেলা বিচারকের ভুমিকাই পালন করছেন। গণনা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা পুনর্গণনার রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।” অন্যদিকে, অজন্তা দেবীর বক্তব্য, “গণনার সময়ে আমায় জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুনর্গণনা হলে আমিই জয়ী হব। সেজন্যই মামলার শেষ দেখতে চাই।” ২০০৯ সালে পুর নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অজন্তা বিশ্বাসকে হারিয়ে ওই ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের মায়া পাশোয়ান। পুর নির্বাচন কমিশনারের গণনায় সন্তুষ্ট না-হয়ে অজন্তা দেবী পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিলেন। পুর নির্বাচন কমিশনার ওই দাবি অগ্রাহ্য করায় ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর দার্জিলিং জেলা আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে মামলাটি আদালতে পেশ করেন আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল। মামলাটি গত বছরের জুন মাস নাগাদ শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত হয়। আদালতে এতদিন ধরে মামলাটি চললেও মায়া দেবী এতদিন আদালতে হাজিরই হননি বলে অভিযোগ। সন্দীপবাবু বলেন, “গণনায় আমার মক্কেল ১০২ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আসলে সঠিক ভাবে গণনা হলে তিনি অন্তত ৪০ ভোটে জয়ী হতেন। ২২/এ বুথে গণনার কারচুপি হয়েছে। আদালতে তার প্রমাণও পেশ করা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.