বধূ ‘খুন’, গ্রেফতার ৬
দু’টি পৃথক জায়গায় বধূ খুনের অভিযোগে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খাতড়া থানার কাঠার গ্রামে বুধবার সকালে গাছে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার নাম বন্দনা মণ্ডল (২২)। তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জামাই-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওইদিন সন্ধ্যায় খাতড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বন্দনাদেবীর বাবা মুরলীধর মণ্ডল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই বধূটির শ্বশুর বংশীধর মণ্ডল ও শাশুড়ি সন্ধ্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে খাতড়ার কাঠার গ্রামের বাসিন্দা অসীম মণ্ডলের সঙ্গে ওই গ্রামেরই বন্দনার বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁদের দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে। মৃতার বাবা মুরলীধরবাবুর অভিযোগ, সাংসারিক নানা কারণে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বন্দনার উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। সম্প্রতি ওরা আমার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিল। আমার অনুমান, সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ার জন্যই ওরা মেয়েকে খুন করেছে।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বধূটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। যদিও বধূটির শ্বশুরবাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
অন্য দিকে বিষ্ণুপুরের তুঁতবাড়ি এলাকার বধূ রূপা দাসকে খুন করার অভিযোগে তাঁর স্বামী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধরা হয়। বুধবার সকালে বিষ্ণুপুর রেল ফটকের কাছে রেল লাইনে রূপার দেহ মিলেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বধূটির বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বধূটির স্বামী বিশ্বজিৎ দাস, শ্বশুর প্রবোধ দাস, শাশুড়ি লক্ষ্মী দাস ও মামা শ্বশুর গেঁড়ু মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার তাঁদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.