|
|
|
|
প্রতিবেশীদের সাহায্যেই বেঁচে আছেন প্রিয়বালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
নাছোড় অভাব স্বত্ত্বেও যক্ষ্মা আক্রান্ত পড়শিকে এড়িয়ে যাননি তাঁরা।
নবদ্বীপের বাবলারি পঞ্চায়েতের পাড়া-প্রতিবেশীদের এ বেলা ও বেলা পালা করে পাঠানো দু’মুঠো অন্ন আর পথ্যেই এখন দিন যাপন প্রিয়বালা চৌধুরীর। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে এক সময়ের তাঁতশিল্পী প্রিয়বালার যক্ষ্মা। চিকিৎসকেরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ভাল খাওয়া-দাওয়া আর ওষুধই তাঁকে আরও কয়েক মাস বাঁচিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু দিনে ১৫-২০ টাকা রোজগারে সে রাজরোগের ক্ষত শুকোবে কী করে? ‘কেন, আমরা কি মরে গিয়েছি?’ এগিয়ে এসেছিলেন পড়শিরা। তাঁদের বাড়ানো সাহায্যের হাত ধরেই এখনও বেঁচে রয়েছেন ওই তাঁতশিল্পী। রোগ ধরা পড়ার পর নয়ন দেবনাথ, অঞ্জলি রায়, লক্ষ্মণ দেবনাথদের দেখভালেই প্রিয়বালার জীবনধারণ। গত মার্চমাসে অবশ্য বাবলারি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন বছর একচল্লিশের বিধবা প্রিয়বালাদেবী। তবে সে আবেদনে কান দেয়নি পঞ্চায়েত এমনই জানালেন তিনি। |
|
প্রিয়বালা চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র। |
প্রিয়বালা চৌধুরী বলেন, “স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব সম্বলই শেষ হয়ে গিয়েছে। রোজই জ্বর হত, কিন্তু ডাক্তার দেখানোর বা ওষুধ কেনার পয়সা ছিল না। এরপর তাঁত চালানোও বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেও লাভ হয়নি। এখন তো উঠতেই পারি না আর।” পড়শিরা জানান, প্রিয়বালাদেবী বিপিএল তালিকাভুক্ত। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতে বিধবাভাতার জন্য আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। বাবলারির পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের অশোক সরকারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।” অন্য এক পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের সনৎ পাল বলেন, “আমরা ওর জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও সাহায্য করেছি। তবে বিধবা ভাতার বিষয়ে এখনও কিছু করা যায়নি।” নবদ্বীপের বিডিও এ টি আনসারি বলেন, “বিধবা ভাতার জন্য পঞ্চায়েত থেকে নাম পাঠানো হয়। ওঁর নামে কোনও সুপারিশ পাইনি। আবেদন করলেই বিধবা ভাতা পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। আমি ওনাকে কী ভাবে সাহায্য করা যায় দেখছি।” কিন্তু কত দিনে? কেউ জানে না। |
|
|
|
|
|