দাসপুরে দলীয় কোন্দল পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না শাসক তৃণমূলের। কোন্দলের জেরে দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের প্রচারেও কিছুটা পিছিয়ে শাসকদলের প্রয়াত বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার স্ত্রী এ বারের প্রার্থী মমতা ভুঁইয়া। এ দিকে নাম ঘোষণার পর থেকেই সিপিএম প্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায়ের হয়ে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। ইতিমধ্যেই সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার একাধিক কর্মিসভা সেরে ফেলেছেন। সমরবাবুও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বিধানসভা এলাকায়। দলের নবীন এই প্রার্থীকে নিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল অধিকারীও বুথে বুথে সভা করছেন। সঙ্গে বাড়ি বাড়ি প্রচার, দেওয়াল লিখনও চলছে।
অথচ দাসপুর তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। ২০১১-র নির্বাচনে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন অজিতবাবু। জেলায় একমাত্র এই দাসপুরের একটি পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূলের দখলে। এ বারেও জেতার ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেলেও প্রচারে যে তাঁরা খানিক পিছিয়ে, একান্তে মানছেন শাসকদলের কর্মীরাও। দলীয় সূত্রের খবর, মমতাদেবীকে প্রার্থী হিসাবে দলের একটা অংশ এখনও মেনে নিতে পারছে না। সে কারণেই প্রচারে অনীহা ওই অংশের।
সিপিএমের দেওয়াল লিখন দাসপুরে। নিজস্ব চিত্র।
দলের জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতারা দাসপুরে এসে আলোচনায় না বসলে প্রচার নিয়েও জট কাটছে না। অন্য দিকে, রাজ্যপাট খোওয়ানোর এক বছরের মাথায় এই উপ-নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রত্যয়ী শোনাচ্ছে সিপিএম নেতা-কর্মীদের বক্তব্য। সুনীল অধিকারী যেমন বলছেন, “আমাদের প্রার্থী দাসপুরেরই ঘরের ছেলে। তবে সংগঠনের কাজে বেশিরভাগ সময়ে মেদিনীপুরে থাকতেন। তাই প্রার্থীর সঙ্গে যাতে বিধানসভা এলাকার সবাই পরিচিত হতে পারেন, তাই সময় নষ্ট না করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তনের সরকার এলাকার এবং গোটা রাজ্যের কী হাল করেছে, তা বিবেচনা করেই ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করছি আমরা।”
তৃণমূলের তরফে কয়েকটি এলাকায় দেওয়াল লিখন ছাড়া আর সে ভাবে ভোটের প্রস্তুতি নজরে পড়ছে না। দলীয় কোন্দলও গোপন থাকছে না। এ বারের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েই টানাপোড়েনের সূত্রপাত। প্রার্থী নিয়ে উচ্চ-নেতৃত্ব স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি বলেও ক্ষোভ রয়েছে। প্রচার-প্রস্তুতির জন্য গত রবিবার দাসপুরে এসেছিলেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। কিন্তু কোন্দলের জেরে প্রস্তুতির আলোচনা তেমন করতে পারেননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব, “প্রচার এখনও সে ভাবে শুরু হয়নি ঠিকই। তবে আমরা স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দ্রুত প্রচারে নামব।”কোন্দল প্রসঙ্গে দীনেনবাবু বা শ্রীকান্তবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দাসপুরের দু’টি ব্লকের মোট ২৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০টি পঞ্চায়েত নিয়ে দাসপুর বিধানসভা। গতবার দাসপুরে মোট ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৪৩। এ বার ভোটার বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩১৩।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.