|
|
|
|
ছোট আঙারিয়া মামলা |
শুনানি শেষ, চার্জ-গঠন ১৪ই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অভিযুক্ত অনুপস্থিত থাকায় বেশ কয়েক বার শুনানি পিছিয়েছে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে ছোট আঙারিয়া মামলায় চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানি শেষ হল। অভিযুক্ত ও সরকারপক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৪ মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। ওই দিনই চার্জগঠন হবে। দীর্ঘ দিন ‘ফেরার’ থাকার পর গত বছর জুনে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত দিল মহম্মদ গ্রেফতার হন। নতুন মোড় নেয় ছোট আঙারিয়া মামলা। নতুন করে তদন্তও শুরু করে সিবিআই।
২০০১-এর ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটে। বক্তারের বাড়িতে সে দিন বৈঠক চলছিল। সেই সময়েই সিপিএমের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কয়েক জন নিহত হন বলেও তৃণমূল শিবিরের দাবি। অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন বরাবরই ‘ফেরার’ ছিলেন। তাঁরা হলেন দিল মহম্মদ, মোক্তার শেখ, আজিজুল মিদ্দা, আবদুল খান ও প্রশান্ত পাল। অন্য অভিযুক্ত যাঁরা ধরাও পড়েছিলেন (তপন ঘোষ, সুকুর আলিরা), তাঁরাও অবশ্য খালাস পেয়ে যান। অভিযোগ, সে সময়ে মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ানো হয়েছিল আদালতে। রাজ্যে পালাবদলের পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দিল। তাঁর নামে অস্ত্র আইনে একটি মামলা ছিল। পরে তাঁকে এই মামলায় হেফাজতে নেয় সিবিআই।
বিচারের জন্য এজলাস নির্দিষ্ট হওয়ার পরে গত বছরের ১৪ অগস্ট মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলাটি ওঠে। এর পর চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য হয়। এই শুনানিতে আগেই সওয়াল করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু। কিন্তু, পরবর্তী দিনে অভিযুক্ত দিল মহম্মদ আদালতে হাজির না-হওয়ায় পাল্টা সওয়াল করতে পারেননি অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ। কয়েক বার শুনানির দিন পিছিয়ে যায়। আদালত সূত্রে খবর, দিল অসুস্থ ছিলেন। তাই আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মেদিনীপুরে হাজির করানো সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর শাররিক অবস্থার উন্নতি হলে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আনা হয়। বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়েই মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয় দিলকে। শুনানির শুরুতে সওয়াল করতে গিয়ে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী জানান, ছোট আঙারিয়ায় একটিও দেহ উদ্ধার হয়নি। ফলে ৩০২ ধারা থাকে কী করে? এটি ‘সাজানো’ মামলা। কয়েক জন অভিযুক্ত আগেই এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, দিল মহম্মদের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ফলে এ ক্ষেত্রে অস্ত্র-আইনের ধারাও থাকতে পারে না। সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য আদালতে জানান, ঘটনার পর মৃতদেহ গায়েব করা হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৪ মে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। ওই দিনই চার্জগঠন হবে। এ দিন দিলের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারক। |
|
|
|
|
|