টোলগে ওজবের জায়গায় কাকে নেওয়া হবে তা ক্লাবকে জানিয়ে দিলেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। গোলের মধ্যে থাকা ওমান এবং ইরাকের দুই ফুটবলারকে বেছে ফেললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁদের এক জনকেই নেওয়া হবে।
কোচের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে এশীয় কোটার পূরণের জন্য ওমানের হাসান রাবিয়া আল হাউসিনি এবং ইরাকের মুসলিম মুবারক আলমাসকে দলে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই কর্তারা চূড়ান্ত কথাবার্তা বলতে শুরু করে দিলেন। ক্লাব সূত্রের খবর, কোচের প্রথম পছন্দ ওমানের ‘গোলমেশিন’ হাসানই।
টোলগে মোহনবাগান থেকে অগ্রিম নিয়ে চুক্তিতে সই করে দিলেও এখনও সরকারি ভাবে তা জানাননি। ফলে লাল-হলুদ কর্তারা তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার নানা রকম বায়না বা দাবি করলে সেগুলো মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে মন ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। ১৪ মে কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টোলগের সঙ্গে এই ‘খেলা’ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ‘খেলে’ যাবেন টিমের স্বার্থেই। কারণ কলকাতা লিগটা তাদের চাই। তবে তলায় তলায় টোলগের জায়গায় এশীয় কোটায় ইরাকের আরবিল এফসি-র স্ট্রাইকার মুবারকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন কর্তারা। ইরাকে এএফসি কাপে মুবারক খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। গোলও করেছিলেন। মর্গ্যানের ইচ্ছায় সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে কথাও বলে এসেছিলেন দলের সঙ্গে যাওয়া ম্যানেজাররা। তাঁদের ধারণা, আরবিলের এক নম্বর স্ট্রাইকারটির গোল করার ক্ষমতা টোলগের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আরবিলের হয়ে লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন শুধু নয়, বছর ছাব্বিশের ফুটবলারটি ইরাকের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিভিন্ন পর্যায়ে তিরিশটির বেশি গোল করেছেন। তাঁর বড় গুণ স্ট্রাইকার খেলার পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডিও হিসাবেও খেলতে পারেন। |
জানা গিয়েছে, মুবারকের চেয়ে ওমানের জাতীয় দলের ফুটবলার হাসান রাবিয়াকে বেশি পছন্দ মর্গ্যান এবং ক্লাব কর্তাদের। আঠাশ বছরের ফুটবলারটি এখন খেলেন প্রথম ডিভিশনের ক্লাব আল সাবারের হয়ে। জাতীয় দলের নিয়মিত স্ট্রাইকারটির প্রচুর গোলও আছে। মোহনবাগানের ওডাফার মতোই হাসানকে আদর করে ‘গোলমেশিন’ বলে ডাকেন ওমানের ফুটবলপ্রেমীরা। মাসকটে গালফ কাপ টুর্নামেন্ট-সহ জাতীয় দলের হয়ে ২৬ ম্যাচে ১৪ গোল আছে হাসানের। ক্লাব পর্যায়েও প্রচুর গোল আছে তাঁর। কিন্তু মুবারককে যেমন মর্গ্যান নিজে দুটো ম্যাচে দেখেছেন, হাসানকে তেমন দেখেননি তিনি। যেটুকু দেখা, তা এজেন্টের পাঠানো সিডি দেখেই। তবে ইরাকের মুবারকের তুলনায় ওমানের হাসানের জীবনপঞ্জি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। খোঁজখবর নিয়ে নাকি মর্গ্যান জেনেছেন, টোলগের চেয়েও বিপক্ষ গোলের সামনে হাসান বেশি ভয়ঙ্কর। দলগঠনের দায়িত্বে থাকা এক কর্তা বললেন, “টোলগে চলে গেলে এমন ফুটবলার আমরা আনতে চাই, যে ওর চেয়ে ভাল। যে দু’জনকে কোচ বেছেছেন তাদের একজনকে নিলেই সেটা সম্ভব।” এশীয় কোটার বাইরেও আরও একজন বিদেশি স্ট্রাইকার নেবে ইস্টবেঙ্গল। মর্গ্যান কলকাতা লিগ শেষ হওয়ার পর সেটা বেছে দেবেন বলে কর্তাদের জানিয়েছেন। এ দিকে প্রয়াগে সই করলেন চার্চিলর জাকির এবং ভিভা কেরলের কে আসিফ। |