|
|
|
|
খড়্গপুরে ধৃত ২ |
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে খড়্গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মিহির রানার (৪০) বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরেরই কুলটিকরিতে। অনুপ পট্টনায়েকের (৩৮) বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের হাউরে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত তাঁদের ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও সিআইডির একটি দল যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে এই ২ জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও মামলাটি সিআইডির হাতে যেতে পারে। জেলায় এখন জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাঁকরাইলের দিলীপ সিংহ নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কী ভাবে? |
|
ধৃত দুই প্রতারক |
জুনিয়র কনস্টেবল পদের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পরে সম্প্রতি মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন দিলীপ। এর পর এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে জানান, মৌখিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬। এই নম্বরে চাকরি পাওয়া অসম্ভব। তবে যদি দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তা হলে চাকরি হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, ২০ হাজার টাকা নিয়ে বুধবার রাতে খড়্গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আসেন দিলীপ। কথা ছিল, এখানেই লেনদেন হবে। কী রঙের জামা পড়ে টাকা নেওয়ার জন্য লোক অপেক্ষায় থাকবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানতে পারে বিষয়টি। বুধবার রাতে শুরুতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। সেই সময়েই পুলিশ প্রতারক-চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, দিলীপের দেওয়া ২০ হাজার টাকা প্রথমে মিহিরই নিয়েছিলেন। পরে ওই টাকা তিনি অনুপের হাতে তুলে দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়। ১৫ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এই কারবারের সঙ্গে আরও কয়েক জন যুক্ত বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|