|
|
|
|
সিসিটিভি-র ফুটেজে রহস্য ভেদ |
লুঠ করতে এসে খুন, গ্রেফতার দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল পুলিশ।
গত ১১ এপ্রিল রাত সওয়া ১টা নাগাদ তারকেশ্বরের চাউলপট্টিতে হানা দেয় এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সে সময়ে ভানুপ্রসাদ পাল এবং গোপী দাস নামে দু’জন রাত-পাহারা দিচ্ছিলেন। গোপীবাবুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পিছমোড়া করে হাত-পা বেঁধে এবং মুখে লিউকোপ্লাস্ট আটকে কচুবনে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ভানুপ্রসাদবাবু দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু করেন। তদন্তকারীদের বক্তব্য, পাল্টা প্রতিরোধ পেয়ে ভানুপ্রসাদবাবুকে গলা টিপে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পরে তাঁকেও একই ভাবে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে রাখা হয়। তবে লুঠপাট চালাতে পারেনি তারা। একটি গুদামের সামনে থাকা সিসিটিভি-র ক্যামেরা ভেঙে দেয়। তবে ওই ক্যামেরায় কয়েক জন দুষ্কৃতীদের ছবি উঠে যায়। পুলিশ সেই ছবি দেখেই দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় সৈকত কুণ্ডু নামে বসিরহাটের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীকে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ছয় দুষ্কৃতীর তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত বুধবার তারকেশ্বর থানার ওসি তারকেশ্বর মুখোপাধ্যায় বাহিনী নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় হানা দেন। আমিনপুর গ্রাম থেকে সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ধৃত ওই দুষ্কৃতী। দলটিতে মোট ৭ জন ছিল। দলের মূল পাণ্ডা শেখ বাবলু। গুদামের ওই সিসিটিভিতে বাবলুর মুখ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। দলটি মূলত সিগারেটের গুদামে লুঠ করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দমদমে একটি সিগারেটের গুদামে এই দলটি হানা দিয়েছিল। সেখানেও সিসিটিভিতে দুষ্কৃতীদের ছবি উঠে যায়। সেখানে ধৃত সৈকতেরও মুখ রয়েছে। একাধিক দুষ্কৃর্মে জড়িত থাকলেও এই প্রথম সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল।” |
|
|
|
|
|