রাজ্যসভার ভোটকে ঘিরে ঝাড়খণ্ড সরকারের শরিকি লড়াইয়ের ক্ষেত্র এবার আরও বিস্তৃত এবং তীব্র হচ্ছে। হাটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য দুই জোট শরিক---বিজেপি এবং অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু) আজ নিজের নিজের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় সরকারের শরিকি লড়াই নতুন মাত্রা পেল। বিজেপি মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন রামজীলাল সারদা। আজসু’র প্রার্থী হচ্ছেন নবীন জয়সোয়াল। হাটিয়া আসনটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। কংগ্রেস বিধায়কের মৃত্যুতে আসনটি খালি হয়। নিবার্চন কমিশন আগামী ১২ জুন ওই আসনে উপনির্বাচন করার কথা ঘোষণা করেছে।
হাটিয়া আসনে জোট সরকারের শরিকি লড়াইয়ের ব্যাপারে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “এই আসনটি অন্য শরিকদের ছাড়ার প্রশ্ন কোনও দিনই ওঠেনি। এ বার ওই প্রশ্ন কেন উঠল সেটাই বিস্ময়ের। কারণ গত নির্বাচনেও হাটিয়া আসনে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন রামজীলাল। কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে মাত্র ২৫ ভোটে তিনি হেরে যান।” দীনেশানন্দের দাবি, এ বারেও হাটিয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে তাঁরাই যে প্রার্থী দেবেন তা রাজ্যসভা নির্বাচনের অনেক আগেই বিজেপি-র তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল।
বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্যসভার সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আজসুকে নিজেদের দিকে টানতে হাটিয়া আসনটিকেই ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করেছিল। আজসু প্রার্থী দিয়েছে জেএমএমের মদতেই। এই সূত্রের দাবি, ‘হাটিয়া’ দেখিয়েই সরকারের জোট সঙ্গী আজসু-কে নিজেদের দিকে টেনে আনতে সফল হয়েছিল জেএমএম। জেএমএম বা আজসু নেতৃত্ব অবশ্য এই নিয়ে আজ প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি। তবে এই শিবিরের সূত্রে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পরে, সরকার গঠনের সময়ে বিজেপি-জেএমএম-আজসু জোট তৈরি হয়। সুতরাং কোনও আসনই জোট শরিকদের কারও জন্য নির্দিষ্ট নয়। যে কেউ যে কোনও আসনে প্রার্থী দিতে পারে। জেএমএম-আজসু শিবিরের চ্যালেঞ্জ, বিজেপি লড়াই করে জিতুক। |