সংসদের চলতি অধিবেশনেই নতুন করে লোকপাল বিল সংসদে পেশ করার জন্য সর্বসম্মতি গড়ে তুলতে মাঠে নামল সরকার। মনমোহন সিংহ সরকারের চার মন্ত্রী সলমন খুরশিদ, কপিল সিব্বল, নারায়ণস্বামী ও পবন বনশল আজ বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে ওই বৈঠকে মূলত রাজ্যস্তরে লোকায়ুক্ত গঠনের প্রসঙ্গটি বিল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন জেটলি। সেই সঙ্গে লোকপাল নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও গণতান্ত্রিক করা এবং সিবিআই-কে লোকপালের আওতায় রাখার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্যস্তরে বাধ্যতামূলক ভাবে লোকায়ুক্ত গঠনের বিষয়টি বর্তমান লোকপাল বিল থেকে বাদ দিতে তারা প্রস্তুত। কারণ এ ব্যাপারে সবার আপত্তি রয়েছে। তবে বিজেপি-র বাকি দু’টি দাবি মানতে কংগ্রেস এখনও রাজি নয়। তা ছাড়া কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, লোকায়ুক্ত গঠনের বিষয়টি বাদ দিলে তৃণমূল কংগ্রেস, মুলায়ম সিংহের সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি বিলটিতে সমর্থন দিয়ে দেবে। তখন বিলটি পাশ করাতে আর বাম-বিজেপি-র সমর্থন লাগবে না। কংগ্রেসের এই মনোভাব বিজেপি নেতারাও আঁচ করতে পারছেন।
বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, সিবিআই-কে লোকপালের আওতায় রাখার দাবি মুলায়ম কখনওই করবেন না। আর তৃণমূলেরও সেই দাবি নেই। ফলে তাঁরা বিলে সমর্থন জানিয়ে দিলে বিজেপি-র কিছু করণীয় থাকবে না। তাঁর কথায়, “সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে পরে কংগ্রেসকে রাজনৈতিক আক্রমণের একটা অস্ত্র থাকবে আমাদের হাতে।”
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ আজ বলেন, “লোকপাল বিল নিয়ে সর্বসম্মতি গড়ে উঠলে সরকার চলতি বাজেট অধিবেশনেই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করতে চাইবে। সর্বসম্মতি গড়ে তোলার জন্য আগেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সরকার এখন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা ভাবে আলোচনা শুরু করেছে।” |