উপলক্ষ ছিল তাঁর সংবর্ধনা। মঞ্চে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে সংবর্ধনা নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেসি মন্ত্রী ও প্রবীণ আইনজীবী বর্ষীয়ান কাশীকান্ত মৈত্র উপদেশের ভঙ্গিতে তাঁর উদ্দেশে বললেন, “বিনম্র হতে হবে। কাজ করতে গেলে ভুল হবেই, সমালোচনা হবেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনাকে সরিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার প্রতি নজর দিতে হবে।” শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কাশীকান্তবাবুর বক্তব্য, “সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করছি, স্কুল-কলেজে রাজনীতি নয়। যে কোনও মূল্যে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির প্রবেশ বন্ধ করুন।” |
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাউন হলে ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে কাশীকান্তবাবুকে হাত ধরে এনে বসান মমতা। নিজে বসেন পাশে সাধারণ চেয়ারে। প্রবীণ অগ্রজের হাতে ফ্রেমে বাঁধানো প্রশস্তি তুলে দেন। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে তৃণমূলের আন্দোলনের সময়ে কাশীকান্তবাবু মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ধর্মতলায় মমতার অনশনের মঞ্চে এসে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেটিই শুনেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, কাশীকান্তবাবুদের একাগ্রতা, কাজ করার জেদ তাঁকে উজ্জীবিত করে।
প্রবীণ নেতা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, তাঁদের ছাত্রাবস্থায় দেখেছেন, অধ্যাপকেরা কত ধৈর্যের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধারও খোঁজ রাখতেন। তিনি বলেন, “এখন দেখছি, অধ্যাপকেরা ঘেরাও হচ্ছেন। মার খাচ্ছেন।” বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের উদ্দেশে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। যদিও সূর্যবাবু সেখানে ছিলেন না। |