অনুমোদন রয়েছে, মিলছে না বেতন
মাদ্রাসার সরকারি অনুমোদন রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলও খাওয়ানো হয়। কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন চালু হয়নি।
গত তিন বছর ধরে বিনা বেতনে এ ভাবে কাজ করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েছেন খয়রাশোলের বড়রা গ্রামের গৌসুল আজম মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, জেলার অন্য কয়েকটি মাদ্রাসার সঙ্গে তাঁদেরটি একই সঙ্গে সরকারি অনুমোদন পায়। ওই মাদ্রাসাগুলির শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা বেতন পেলেও, এই মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই মাদ্রাসায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৪৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সাতজন শিক্ষক ও দু’জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার অন্য ১৭টি মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের পাশাপাশি ২০০৯-এ সরকারি অনুমোদন পেয়েছিল খয়রাশোলের ওই মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রটিও। কিন্তু সেই সময় ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের শিক্ষকেরা তা নিতে না চাওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত।.
এর কারণ হিসেবে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শেখ গোলাম ওয়াজেদ আলি বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সরকারি অনুমোদনের যে তালিকা সেই সময় পাঠানো হয়েছিল, তাতে সহ শিক্ষক কামরেজ আলির নাম ছিল না। তিনি বানিজ্য বিভাগে স্নাতক। ওই সহকর্মী দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত। তা সত্বেও ওই তালিকায় তাঁর নাম না আমরা জেলা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে জানাই, বেতন এক সঙ্গে সবাইকে দিতে হবে। সেই আমাদের সরকারি অনুমোদন আটকে রয়েছে। বছরের পর বছর বিনা পারিশ্রমিকে কাজ চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
জেলা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “২০০৯-এ মাদ্রাসা (মাধ্যমিক) শিক্ষা কেন্দ্রগুলি যখন সরকারি অনুমোদন পেয়েছিল, তখন বানিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের সরকারি অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে জটিলতা ছিল। পরের বছর বিকম ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়।” তবে ওই মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কী সমস্যা তিনি জানাতে পারেননি। ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের অভিযোগ, বহুবার এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে দরবার করা হলেও সমাধান হয়নি। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের নোডাল অফিসার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) এই দফতর দেখেন। তিনি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁকেই রিপোর্ট দেব।” অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণা মাড্ডি বলেন, “এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.