|
|
|
|
ভোরের রাস্তা কেন কাড়ল প্রাণ, মেলেনি উত্তর |
‘নির্বিবাদী’ অর্পণ ফিরবেন না বার্নপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কেউ ডাকতেন ‘অর্পণবাবু’, কেউ ‘অর্পণদা’। পিতৃবন্ধুরা বলতেন ‘অর্পণ’।
দল করতেন। কিন্তু দলের নামে দাদাগিরি, মারদাঙ্গা, অশান্তি, ধমকচমকের অভিযোগ ছিল না তাঁর বিরুদ্ধে। বরং নির্বিবাদী লোকটিকে মোটের উপর পছন্দই করতেন বার্নপুরের মানুষজন। তিনি আচমকা খুন হবেন, ভাবেননি কেউ। ভাবতেও পারছেন না। |
|
|
বার্নপুর ইস্কো হাসপাতালে নিহতের আত্মীয়েরা। |
|
যাঁর বাবা শিল্পাঞ্চলে সিপিএমের এক সময়কার অন্যতম প্রধান নেতা বামাপদ মুখোপাধ্যায়, তিনি যে বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। বস্তুত, বাড়ির আঙিনা থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি অর্পণবাবুর। বামাপদবাবু পরে হিরাপুরের মেয়র ও আসানসোল পুরসভার প্রথম মেয়র ছিলেন। সে কারণে শিল্পাঞ্চলের বাম রাজনীতিতে অর্পণবাবু প্রথম থেকেই বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কলেজে পড়ার সময়েই এসএফআইতে নাম লিখিয়েছিলেন অর্পণবাবু। আসানসোলে বিবি কলেজে স্নাতকের ছাত্র থাকাকালীন তিনি ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে কলেজ পাশ করার সময়েও তিনি ওই পদে ছিলেন। কলেজ থেকে বেরিয়ে যুব সংগঠন ডিওয়াইএফে যোগ দেন তিনি। সংগঠনের হিরাপুর লোকাল কমিটির সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন যুব আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন। বছর দুই পরে তিনি সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদ পান। বার্নপুর শহর শাখার সক্রিয় কর্মী হিসেবে চার বছর দলের হয়ে কাজ করেন। |
|
|
ঘটনাস্থলে পড়ে রক্ত। |
খুনের পরে বন্ধ হয়ে যায় বার্নপুর বাজার। |
|
১৯৮৬ সালে জীবনে পরিবর্তন আসে। পুরসভায় চাকরি নিয়ে কাটোয়ায় যান অর্পণবাবু। চাকরির সুবাদে সেখানে তিনি পাঁচ বছর ছিলেন। কিন্তু সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেননি। ১৯৯১ পর্যন্ত কাটোয়ায় চাকরি করার পরে তা ছেড়ে তিনি বার্নপুরে ফিরে আসেন। দলের সদস্যপদ ছিলই। বেশি করে শুরু করেন সংগঠনের কাজ। দলের অসংগঠিত শিল্প শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বও দিতে শুরু করেন।
চাকরি ছাড়ার পরেই অর্পণবাবু বার্নপুর ইস্কো কারখানায় ঠিকাদারি কাজ শুরু করেছিলেন। মূলত নির্মাণ সামগ্রীর ঠিকাদারি করতেন। কারখানার ভিতরে ও বাইরে কয়েক বছরে একাধিক কাজ করেছেন তিনি। বার্নপুর হাসপাতাল ও একাধিক স্কুলের কাজও করেছেন। বর্তমানে ইস্কোর বার্নপুর ফুটবল স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করছিলেন। রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অর্পণবাবু। বার্নপুরের মসজিদ রোডের একটি ক্লাবের আজীবন কর্ণধার ছিলেন তিনি।
এমন একটি লোককে কেন খুন করা হল তার উত্তর খুঁজছেন সকলেই। খুঁজছে পুলিশও। |
|
হিরাপুর থানায় বিক্ষোভ সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের।
|
মুক্তাঞ্চল অপরাধের |
• আসানসোলে নিজেরই নির্মীয়মাণ বহুতলে গুলিতে খুন প্রোমোটার রামলক্ষ্মণ যাদব
২ জুন, ২০১১
• আসানসোলে এটিএম কাউন্টারে গুলি, দুই রক্ষী খুন। রক্ষীর বন্দুক লুঠ, পরে উদ্ধার
২৩ অগস্ট, ২০১১
• জামুড়িয়ায় বাসে ব্যবসায়ী খুন, টাকা লুঠ
৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
• জামুড়িয়ায় পরিত্যক্ত খনি থেকে ইসিএল কর্মীর দেহ উদ্ধার
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
• আসানসোলে সোনার দোকানের মালিক খুন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
• কুলটিতে ব্যবসায়ী নিখোঁজ
৮ অক্টোবর, ২০১১
• মহীশিলায় ক্যাটারিং ব্যবসায়ী খুন, দেহ উদ্ধার মেজিয়ায়
২৪ অক্টোবর, ২০১১
• হিরাপুরে কয়লা পরিবহণ নিয়ে মাফিয়া-লড়াই, গুলি, বোমা, ভাঙচুর
৭ জানুয়ারি, ২০১২
• হাজারিবাগগামী দূরপাল্লার বাসে ডাকাতি, লুঠ
৩১ জানুয়ারি, ২০১২
• কুলটিতে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী
২ মার্চ, ২০১২
• আসানসোলের আপকার গার্ডেনে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির অফিসে ঢুকে লুঠ লক্ষাধিক টাকা
২৯ মার্চ, ২০১২
• রানিগঞ্জে নিজের দোকানেই গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী
১৭ এপ্রিল, ২০১২
• আসানসোলের ধাদকা রোডে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু পোস্টমাস্টার সুশীল যাদবের
১৮ এপ্রিল, ২০১২
• রানিগঞ্জ কুমারবাজারে লেভেল ক্রসিংয়ে এক দুধ ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ
২৪ এপ্রিল, ২০১২
• আসানসোলে গুলিবিদ্ধ বরাকরের ব্যবসায়ী, টাকা লুঠ
২৮ এপ্রিল, ২০১২
• প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন হিরাপুরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বামাপদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে।
১০ মে, ২০১২ |
|
বৃহস্পতিবার ছবিগুলি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |
|
|
|
|
|