বাম আমলে নেওয়া মালদহ জেলায় ১৩৩১টি শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল হতে চলেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যাঁরা ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছেন শুধুমাত্র তাঁরা ওই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রামপ্রবেশ মন্ডল বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার বিষয়ে সরকারি নির্দেশ কয়েকদিনের মধ্যে হাতে পৌছে যাবে। সেই অপেক্ষায় আছি। এর পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাউন্সিলের সভা করে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জানানো হবে।” তিনি জানান, শুধুমাত্র মালদহ জেলা নয়। রাজ্যের ৬টি জেলায় ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বাম শাসনকালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা সংসদদের সিলেকশন কমিটিতে। যে সমস্ত পরাক্ষার্থীরা পাস করার যোগ্য নয় তাঁদের পাস করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে অনেক যোগ্য পরীক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। ওই সমস্ত অভিযোগ হাতে পৌছনোর পরে ১১ এপ্রিল কলকাতায় প্রথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা দফতেরে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে ২০১০ সালের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কয়েকজন কর্তা জানান, মালদহ জেলার ১৮৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৩১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়েগের জন্য তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ২০১০ সালের ২৫ জুলাই পরীক্ষা নেয়। জেলার প্রায় ১৬ হাজার যুবকযুবতী ওই পরীক্ষায় বসেন। অভিযোগ, বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ৩০ নম্বরের খাতা দেখা শেষ না হতে ২০১১ সালের ভোটের দামাম বেজে ওঠে। খাতা দেখা যখন শেষ হয় তখন পালা বদল হয়েছে। পাল্টে যান প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান। পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ হলেও নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। নানা মহলে দাবি ওঠে বাম শাসনকালের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের যে ৬টি জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আটকে, সেখানকার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যান, শিক্ষা দফতর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নিয়ে ১১ এপ্রিল কলকাতায় বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। |