পানীয় জলের কল আর শৌচাগারের দাবিতে স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। সোমবার চাপড়ার গাঁটরা বিদ্যাপীঠের ঘটনা। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, চারটি পানীয় জলের কল থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা খারাপ হয়ে রয়েছে। ফলে জল খেতে যেতে হয় আশেপাশের বাড়িগুলোতে। শৌচাগারগুলিও ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে স্কুল সংলগ্ন বাগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের শৌচাগারটিই তাদের একমাত্র ভরসা। এ দিনের বিক্ষোভে সামিল হন অভিভাবকেরাও। বিক্ষোভের জেরে স্কুলও বন্ধ থাকে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের হরিচরণ হালদার বলেন, “স্কুলে শৌচাগার আর পানীয় জলের সমস্যা বহুদিনের। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত অফিসের শৌচাগারটি ব্যবহার করে। বিষয়টা সকলের পক্ষই অস্বস্তিকর।” স্কুলটিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৪০০। গরমে প্রকট হয়ে উঠেছে পানীয় জলের সমস্যা। পড়ুয়ারা জানায়, গ্রামবাসীরা সকলে জলের জন্য তাদের বাড়ি যাওয়া ভালভাবে নেননা। কেউ কেউ রীতিমতো বিরক্তও হন। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজিত সরকার বলেন, “প্রায় বছর খানেক আগে আমি বিডিও অফিসে স্কুলের পানীয় জল ও শৌচাগারের সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।” তবে তিনি আরও জানান, আমরা যে নতুন ভবন নির্মাণ করছি সেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্নতমানের শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানীয় জলের জন্য পাম্পও বসানো হচ্ছে। তবে পুরোপুরি তৈরি হতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এত দিন ধরে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? বিডিও সুমন পোদ্দার বলেন, “সম্প্রতি আমরা নলকূপের জন্য কিছু টাকা পেয়েছি। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা স্কুলগুলির মধ্যে বন্টন করা হচ্ছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে শৌচাগারেরও।” |