|
|
|
|
তৃণমূলকে বিঁধে আবারও স্বশাসন দাবি ঝাড়খণ্ডীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাজ্যে ক্ষমতার ‘পরিবর্তন’ হলেও শাসকের চরিত্র-বদল হয়নি। বরং এগারো মাসের মধ্যেই শাসক তৃণমূলের ‘ধ্বংসাত্মক রাজনীতি’র দুর্বিপাকে রাজ্যবাসীর নাভিঃশ্বাস উঠছে। জঙ্গলমহলেও রয়ে গিয়েছে একই রকম অনুন্নয়ন। আগের বাম সরকারের চেয়েও আরও আগ্রাসী ভাবে জঙ্গলমহলের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলিকে দমন করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূলের সরকার। সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে ‘ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি’-র প্রকাশ্য সমাবেশে এ ভাবেই বর্তমান রাজ্য সরকার ও শাসকদলের কড়া সমালোচনা করা হল। ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি ছাড়াও ‘ঝাড়খণ্ড আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চে’র অন্য শরিক দলগুলির নেতারাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তাঁর দলকে বিঁধলেন। জঙ্গলমহলের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য ঝাড়খণ্ডী নেতারা ফের ‘স্বশাসনে’র দাবিও তুললেন । |
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি-র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অসিত খাটুয়ার অভিযোগ, “ক্ষমতা-দখলের জন্য ভোটের আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার, বন্দিমুক্তির দাবি তুলেছিল। গুচ্ছ উন্নয়ন-প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় এসে সবই ভুলে যাওয়া হয়েছে। যে কোনও রকম বিরোধী স্বরকে দমন করতে মমতার সরকার সচেষ্ট।” অসিতের আরও অভিযোগ, “উন্নয়নের নামে কেবল শিলান্যাস হচ্ছে। মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে তোলাবাজি-সন্ত্রাস করছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।” দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আদিত্য কিস্কুও বলেন, “যুগযুগ ধরে এখানকার আদিবাসী-মূলবাসীরা শোষিত ও বঞ্চিত। বামফ্রন্টের আমলে ঝাড়খণ্ডীরা অত্যাচার ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরকে কটাক্ষ করে আদিত্যবাবু বলেন, “মন্ত্রী-পারিষদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রজাদের ভিক্ষা দিতে আসছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ ভিক্ষে চান না, তাঁরা কাজ চান, দু’বেলা দু’মুঠো খেয়েপরে শান্তিতে বাঁচতে চান।”
পিসিসি সিপিআই (এমএল) নেতা প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ রানা বলেন, “পাহাড়ের ধাঁচে তিন জেলাকে নিয়ে একটি স্ব-শাসিত সংস্থার মাধ্যমেই একমাত্র জঙ্গলমহলের উন্নয়ন সম্ভব। যেখানে উন্নয়ন-প্রকল্প রূপায়ণে সরাসরি এলাকাবাসীর ভূমিকা থাকবে।” সভায় ঝাড়খণ্ড ক্রান্তি দলের নেতা উপাংশু মাহাতো, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র নেতা স্বপন মাহাতোও বক্তব্য রাখেন। |
|
|
|
|
|