|
|
|
|
অস্বস্তিতে সিপিএম |
জেলা পরিষদ সদস্যেরও দলত্যাগ বেলপাহাড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’ ও ‘স্বজনপোষণে’র অভিযোগ তুলে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বেলপাহাড়ি থেকে সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য তপন হাঁসদা। সম্প্রতি দল ছাড়ার কথা তিনি লিখিত ভাবে বেলপাহাড়ির বিডিও সর্বোদয় সাহাকে জানিয়ে দিয়েছেন। বিডিও ওই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সিপিএমের অন্দরে। তপনবাবুর সঙ্গেই দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ সিপিএম সদস্যও (ময়না শীট, সুপ্রতীক সোরেন, সুনীল মুর্মু)। তপনবাবুকে সভাপতি করে তাঁরা নতুন ‘মোর্চা’ গঠনের কথাও জানিয়েছেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত? দলত্যাগী তপন হাঁসদার বক্তব্য, “দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের প্রতিবাদেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।” তপনবাবুরা বিডিও’র কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেখানে ময়না শীট, সুপ্রতীক সোরেন, সুনীল মুর্মুর সঙ্গেই নাম রয়েছে আর এক পঞ্চায়েত সমিতি-সদস্য ভারতী দুলের। অন্যদের সই থাকলেও ভারতীদেবীর সই নেই চিঠিতে। ভারতীদেবীর দাবি, তিনি দল ছাড়ছেন না। তাঁর বক্তব্য, “আমাকে না-জানিয়েই চিঠিতে নাম দেওয়া হয়েছে।” তবে, অন্য ৩ পঞ্চায়েত সমিতি-সদস্যের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি।
আবার সিপিএম সূত্রের খবর, তপনবাবুদের এই পদক্ষেপের কথা জানতে পেরেই তাঁদের পার্টি সদস্যপদ খারিজ করার জন্য উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টি জেলা সম্পাদক দীপক সরকারেরও নজরে আনা হয়েছে। সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক উদ্ধব মাহাতোর বক্তব্য, “জেলা পরিষদের এক সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩ জন সদস্য দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে বিডিও’র কাছে চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি।” চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকলাপে তিতিবিরক্ত হইয়া, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইয়া প্রতিবাদ জানাইতেছি। স্বজনপোষণ, দুর্নীতি হইতে নিজেদের দূরে সরাইয়া রাখিবার জন্য আমরা সিপিএম পার্টি হইতে বাহির হইয়া একটি স্বতন্ত্র মোর্চা বা উপদল গঠন করিলাম’। যদিও দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ উড়িয়ে জোনাল সম্পাদক বলেন, “এ সব অভিযোগ মিথ্যে। তপনবাবুই লোকজনের কাছে প্রচুর টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি ধরা পড়ার পরেই তড়িঘড়ি উনি দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন।” এক সদস্যের দলত্যাগের বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য শুধু বলেন, “বিষয়টি শুনেছি।”
|
|
|
|
|
|