নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষক-সহ অন্যান্য পদে নিয়োগের পরীক্ষার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল শ্রীরামপুরের একটি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে শ্রীরামপুর টিনবাজার এলাকার ওই ব্যক্তিগত মালিকানার স্কুলটি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, হিন্দি এবং বাংলা মাধ্যমে নতুন ইউনিটের জন্য শিক্ষক, নিরাপত্তারক্ষী, পিওন প্রভৃতি বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হবে। সেই মতো ফর্ম বিলি করে চাকুরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়। ডিমান্ড ড্রাফ্ট মারফত প্রত্যেকের থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদনকারীদের বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, গত রবিবার রিষড়ার একটি স্কুলে লিখিত পরীক্ষা দেওয়া হবে। সেই মতো, ওই দিন কয়েকশো তরুণ-তরুণী চাকরির আশায় ওই পরীক্ষা দিতে আসেন।
কিন্তু সেখানে পৌছেই তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। চাকুরি-প্রার্থীদের অভিযোগ, যে স্কুলে নিয়োগ নিয়ে পরীক্ষা, সেখানকার কেউ হাজির হননি। পরীক্ষার্থীদের যে তালিকা টাঙানো হয়েছিল, তাতে বহু আবেদনকারীর নাম ছিল না। তা ছাড়া, সব পদের ক্ষেত্রেই একই ধরনের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। পরীক্ষার হলে নজরদারি করার মতোও তেমন কেউ ছিলেন না।
আবেদনকারীরা অভিযোগ তোলেন, ভুয়ো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ওই অভিযোগ তুলে পরীক্ষাকেন্দ্রেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ভাঙচুর হওয়ার উপক্রম হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তৃণমূলের এক নেতাকে দেখা যায়, স্কুলে ঢুকে আলোচনা করতে।
শেষ পর্যন্ত, শ্রীরামপুর থানায় এসে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল তালাবন্ধ। |