প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে অসমের বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। ত্রিপুরার বিশালগড়ে মারা গিয়েছেন এক বনকর্মী। দুই রাজ্যেই জখম হয়েছেন শতাধিক লোক। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। বিদ্যালয়, পুলিশ চৌকিও রেহাই পায়নি। গাছ পড়ে, টেলিফোন লাইন ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বরাকে গত কয়েক দিনই ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কাল রাতে ঝড়ে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলার বাজারঘাট এলাকা। পুলিশও বিপন্ন। বাজারিছড়া থানা ও দু’টি পুলিশ ব্যারাকের টিনের চাল পুরো উড়ে গিয়েছে। বাইরে চেয়ার- টেবিল পেতে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বাজারিছড়া হাসপাতালের চালও। তছনছ হয়ে গিয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। হাইলাকান্দি জেলার লালাছড়ায় বিশাল গাছ ভেঙে পড়ে একটি বাড়ির গায়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িটি। এর আগে শুক্রবারের ঝড়ে করিমগঞ্জের ভৈরবনগরে ঘর চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল আশরাফুল ইসলাম নামে এক শিশু।
|
বিপর্যয় মোকাবিলায় বিএসএফ জওয়ানরা। ত্রিপুরার বিশালগড়ে। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
অন্য দিকে আজ সকালে প্রবল কালবৈশাখীর দাপটে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার বিশালগড়, বিশ্রামগঞ্জ ও জম্পুই এলাকা। গুপিনগর, চন্দ্রনগর, প্রভাপুর, যুগলকিশোরনগরএই চারটি গ্রামে প্রায় তিনশো ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। টেলি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে বিএসএফকে। বিশালগড় মহকুমার চন্দ্রনগরে টিনের চালাঘর চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে রফিজ খান নামে এক বনকর্মীর। জখম অন্তত ৪৫ জন । কৈলাশহরেও ঝড়বৃষ্টির জেরে জখম হয়েছেন জনা পনেরো ব্যক্তি। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দশ হাজার টাকা করে প্রাথমিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। বিশালগড়ে উপদ্রুত অঞ্চলে যান জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ভানুলাল সাহা। ভানুবাবু এলাকার বিধায়ক। |