আরুষি হত্যা মামলায় নূপুর তলোয়ারের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত। নূপুরকে দসনা জেলে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। অন্তত সোমবার রাতটা তাঁকে সেখানেই কাটাতে হবে।
২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের দেহ। নয়ডা পুলিশের তদন্তে খুনে অভিযোগের তির ছিল আরুষির বাবা রাজেশের দিকে। হাজতবাসও হয়েছে তাঁর। পরে মামলার তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। তারাও আরুষির বাবা রাজেশ ও মা নূপুরকে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়।
সম্প্রতি নূপুরের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে গাজিয়াবাদের আদালত। পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান নূপুর। আর্জি গ্রহণ করলেও নূপুরকে গাজিয়াবাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলে শীর্ষ আদালত।
|
দসনা জেলের পথে নূপুর। ছবি: পি টি আই। |
আজ নূপুরের জামিন নিয়ে রীতিমতো নাটক দেখল তিনটি আদালত। সকালে গাজিয়াবাদে বিচারক প্রীতি সিংহের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নূপুর। সেখানেই তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। কয়েক মিনিটের মধ্যে জামিনের আর্জি পেশ করেন তাঁর আইনজীবীরা। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। খারিজ হয়ে যায় তাঁর আর্জি। পরে দায়রা আদালতে যান নূপুরের আইনজীবীরা। নূপুর তাঁর আবেদনে জানান, এক জন মহিলা হিসেবে তিনি জামিন পাওয়ার অধিকারী। তাঁর স্বামী এই মামলায় অভিযুক্ত হলেও এখন জামিনে মুক্ত। তাই তাঁকেও জামিন দেওয়া যেতেই পারে। নূপুরের আর্জি শুনানির জন্য অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা বিচারক শ্যামলালের আদালতে পাঠান দায়রা আদালতের বিচারক ভরত ভূষণ। শ্যামলাল জানিয়ে দেন, নূপুরের জামিন নিয়ে আগামী কাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে, অন্তত এক রাতের জন্য নূপুরের জেল যাত্রা নিশ্চিত হয়ে যায়।
এর পরে স্পষ্টতই বিধ্বস্ত নূপুরকে নিয়ে দসনা জেলের দিকে রওনা দেয় পুলিশের গাড়ি। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেখানে পৌঁছে যান তিনি। জেলের বাইরে তখন সংবাদমাধ্যমের ভিড়। দসনা জেলের ১৩ নং ব্যারাক মহিলা বন্দিদের জন্য সংরক্ষিত। নূপুরকে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেল সুপার জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে খাবার, জল ও অন্যান্য সুবিধে দেওয়া হবে। নূপুরের নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন জেল কর্তৃপক্ষ। তাই ১৩ নং ব্যারাকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। |