|
|
|
|
তিন স্কুলে ক্ষমতা হারাল সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাটোয়ার গিধগ্রামের গিধেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনেই জিতলেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। এই ভোটে সিপিএম এবং তৃণমূলও প্রার্থী দিয়েছিল। এর আগে এই স্কুলের পরিচালন সমিতি ছিল সিপিএমের দখলে। এ বার হারের পরে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের প্রার্থীদের সমর্থনে পড়া বেশ কয়েকটি ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ার জন্যই খারাপ ফল হয়েছে। তৃণমূলের আবার অভিযোগ, কংগ্রেসের লোকজন তাদের সমর্থক অভিভাবকদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। কংগ্রেস অবশ্য এ সব মানতে চায়নি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের একাংশ কংগ্রেস কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। জখম দু’জনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পুলিশ জানায়, পরিচালন সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল বাধে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার মঙ্গলকোটের মাথরুন বিদ্যায়তন ও রবিবার নতুনহাট এ কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। দু’টি স্কুলেই আগে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।
অন্য দিকে, মহকুমার দু’টি স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জিতলেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার বারাবনির পুচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনের মোট ছ’টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করেন তাঁরা। একটি আসন দখলে রেখেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। ওই স্কুলের শিক্ষক তথা রিটানিং অফিসার অভিজিৎ উপাধ্যায় জানান, নির্বাচনের শেষে তৃণমূলের সমর্থকেরা পুনরায় গণনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তবে নির্বাচন নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। অন্য দিকে, বরাকরের বেগুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি নিজেদের দখলে রেখেছে সিপিএম। স্কুলের মোট ছ’টি আসনের মধ্যে চারটিতে জিতেছেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। দু’টি আসন গিয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে। |
|
|
|
|
|