পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএমের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের একাংশের ‘মোকাবিলা’ যে তাঁদের লক্ষ্য ফের তা স্পষ্ট হল তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্যে। রবিবার রাজারহাট-গোপালনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের কর্মিসভায় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়, রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক তো বটেই, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সৌগতবাবু সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ করেন। সিপিএমের বিরুদ্ধে তাঁর ‘ঘৃণার রাজনীতি’ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করছে বলে জ্যোতিপ্রিয়বাবু যেমন সমালোচনা করেছেন, তেমনই ব্রাত্যবাবু বলেছেন, “সরকারের ভাল কাজের কথা বিস্তারিত ভাবে সংবাদমাধ্যম প্রচারে আনেনা। কিন্তু গালাগালি বিপণন যোগ্য।” তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের সরকার বিরোধী প্রচারকে ‘বিনোদন’ হিসাবে দেখার জন্য কর্মীদের বলেন সৌগতবাবু। তাঁর কথায়, “যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার সময়ে তিনি বলেছিলেন, ওরা জানেন না কী পাপ করছে। ইশ্বর ওদের ক্ষমা করুন। আপনারাও ওদের (সংবাদমাধ্যম) ক্ষমা করুন।
এ দিনও দলীয় কর্মীদের ‘সিপিএমের বিরুদ্ধে ঘৃণা’ জাগিয়ে রাখার আহ্বান জানালেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সামনের পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিকভাবে আমরা সিপিএমের মোকাবিলা করব। এক সময়ে আমরা সিপিএমের অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছি। সিপিএমকে আমরা ঘৃণা করি। যমের কাছে যাব, তবু সিপিএমকে ঘৃণা করা ছাড়ব না।’’ তবে সৌগতবাবু অবশ্য জানান, ‘ঘৃণার রাজনীতি’ তিনি করেন না। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকে গাঁধীজি পড়েছি। আমি ঘৃণার রাজনীতি করি না।” তবে স্থানীয় পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘তাপসবাবুর নেতৃত্বে যে ভাবে বাংলা বন্ধের দিন আমাদের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের উপর আক্রমণ
করেছে তা কোনওদিন বরদাস্ত করতে পারব না।” |