|
|
|
|
গার্লস হস্টেল, নতুন স্কুল তৈরির উদ্যোগ জঙ্গলমহলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত করতে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ২৩টি নতুন উচ্চমাধ্যমিক স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। পরিকল্পনা মতো প্রস্তাব ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রাজ্যস্তরে পাঠানোও হয়েছে। এ বার পূর্ত-দফতর রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবে। তার পর তা খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ট ফান্ডের (বিআরজিএফ) অর্থেই নতুন স্কুল তৈরি হওয়ার কথা। তিন জেলার কোথায়-কোথায় নতুন স্কুল তৈরি হতে পারে, সম্প্রতি সে সংক্রান্ত খসড়া-প্রস্তাব জেলা থেকে রাজ্যস্তরে পাঠানো হয়েছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা-প্রশাসন সূত্রের খবর। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুধু নতুন স্কুল তৈরিই নয়, জঙ্গলমহলের তিন জেলা-সহ ‘পিছিয়ে পড়া’ ১১টি জেলায় সব মিলিয়ে ১০৫টি নতুন গার্লস-হস্টেল তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা মতো কাজ হলে জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল।
রাজ্যে পালাবদলের পরেই জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষার সুযোগ আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ঘোষণাই করেছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি, লালগড়, নয়াগ্রামের মতো এলাকায় কলেজই নেই। ওই সব এলাকার ছাত্রছাত্রীদের দূরের শহর ও তার আশপাশ এলাকার কলেজে ভর্তি হতে হত। এই তিন ব্লকেও এখন কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার চাইছে, জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য যেন বেশি দূরে যেতে না হয়। এলাকায় থেকেই যেন পড়াশোনার সুযোগ পান। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “সেই লক্ষ্যেই প্রত্যন্ত এলাকায় নতুন উচ্চমাধ্যমিক স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
জঙ্গলমহলের তিন জেলায় নতুন যে ২৩টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল তৈরি হবে, তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০টি, পুরুলিয়ায় ৭টি ও বাঁকুড়ায় ৬টি স্কুল তৈরি হওয়ার কথা। নতুন প্রতিটি স্কুলের জন্য ৩ থেকে ৫ একর জমি প্রয়োজন। প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন স্কুল-ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য হস্টেলও তৈরি হবে। এর বাইরে জঙ্গলমহলের তিন জেলা-সহ ‘পিছিয়ে পড়া’ ১১টি জেলায় সব মিলিয়ে ১০৫টি এখনকার স্কুলেও গার্লস হস্টেল তৈরি হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরেই হবে ৫০টি হস্টেল। এ ক্ষেত্রে হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই জমি দিতে হবে, নচেৎ আশপাশে খাসজমি থাকলে সেখানেই হস্টেল তৈরি করা হবে। প্রতিটি হস্টেলের জন্য ১৫ কাঠা করে জমি প্রয়োজন। কোন কোন স্কুলে প্রয়োজনীয় জমি রয়েছে, কোন কোন স্কুলে বেশি সংখ্যক ছাত্রী পড়ে---জেলাস্তরে প্রস্তাব তৈরির সময়ে তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রতিটি হস্টেল তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। ওই টাকাও আসবে বিআরজিএফ থেকেই। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫০টি গার্লস হস্টেলের পাশাপাশি পুরুলিয়ায় ১৫টি, বাঁকুড়ায় ১৫টি হস্টেল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। বাকি ৮ জেলায় হবে ২৫টি হস্টেল। |
|
|
|
|
|