ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাসুরের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বড়জোড়ার তিকর গ্রামে। শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা বলেন সুমিত্রা ঘোষ (১৯) ও তাঁর ভাসুর কানাই ঘোষ (৩৮)। সুমিত্রা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মৃত বধূটির দাদা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, ভগ্নিপতি ধনঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে তার বৌদির বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। সে কারণে ধনঞ্জয় তার স্ত্রীকে সহ্য করতে পারত না। তাই ওকে খুন করেছে। পুলিশের দাবি, ধনঞ্জয়ের বৌদি শ্যামলী ঘোষ তাঁদের কাছে জানিয়েছেন সুমিত্রাকে খুন করার কথা জানতে পেরেই তাঁর স্বামী কানাইবাবু দড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ মৃত বধূটির দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে জা, ননদ ও ননদাইকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতার স্বামী ও ভাসুর দু’জনেই স্থানীয় একটি কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। সুমিত্রার সঙ্গে ধনঞ্জয়ের প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। এ দিন সকালে বাসিন্দারা দেখেন ওদের বাড়ির খানিক দূরে একটি গাছের ডালে কানাইবাবুর গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া দেহ ঝুলছে। খোঁজ করতে গিয়ে বাড়িতে লোকজন না দেখতে পেয়ে তাঁর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের ভিতর খাটের তলা থেকে সুমিত্রার গলায় গামছার ফাঁস লাগানো দেহ দেখতে পান। তাঁর পরনে পোশাক ছিল না। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে স্থানীয় পানপাড়ায় কানাইবাবুর বোনের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী শ্যামলীকে আটক করেন। আটক করা হয় তাঁর ননদ ও ননদাইকেও। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শ্যামলী পুলিশের কাছে দাবি করেন, শনিবার গভীর রাতে ধনঞ্জয় ও তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এরপর ধনঞ্জয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সেই খবর পেয়েই কানাইবাবু দড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। বাড়ি থেকে শ্যামলী ও তার দেওর বেড়িয়ে পানপাড়ায় যায়। সেখানে শ্যামলীকে রেখে দিয়ে দেওর পালায়।
মৃত বধূটির দাদার অভিযোগ, “স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় ও বিয়ের পণের হাজার খানেক টাকা বাকি থাকায় বোনকে ওরা খুন করেছে। আগে ওই সম্পর্কের কথা জানলে বিয়ে দিতাম না।” তিনি বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, জা, ননদ ও ননদাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান করা হচ্ছে। |