নতুন ভবন নির্মাণ হয়ে পড়ে আছে। তবুও গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলে কালীমন্দির চত্বরে। খোলা আকাশের নীচে কেন্দ্রটি চলায় একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই তা বন্ধ করে দিতে হয়। মানবাজারের বারমেশ্যা গ্রামের। সমস্যাটি তবুও গ্রামের।
কিন্তু নতুন ভবনে কেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? বারমেশ্যা রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-১১ এর আর্থিক বছরে আইসিডিএস কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য প্রায় পৌনে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। নির্মাণকারী সংস্থা দু’মাস আগে ভবনের চাবি পঞ্চায়েতে জমা দিয়ে যান। পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সুচিত্রা বাউরির দাবি, “ওই ভবনের কিছু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ থাকায় নতুন ভবনে কেন্দ্র চালু করা যাচ্ছে না। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে ভবনের চাবি পেয়েছি। নির্মাণকারী সংস্থা জানিয়েছে, ভবনের ভেতরে কিছু রঙের কাজ বাকি রয়েছে।” যদিও ওই নির্মাণকারি সংস্থার পক্ষে মানস দাস বলেন, “ওই ভবনের কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। দু’মাস আগে প্রধানের অফিসে চাবি জমা দিয়ে এসেছি।” |
যদিও বারমেশ্যা গ্রামের বাসিন্দা সজল বাউরি, রাতুল বাউরিদের অভিযোগ, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর বাড়িতে রান্নার মালপত্র থাকে। ওই কর্মীর সঙ্গে প্রধানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার সুবাদে নতুন ভবনে কাজ শুরু করা হচ্ছে না। এর ফলে প্রায় এক কিমি দূরে মন্দির চত্বরে খোলা আকাশের নীচে কেন্দ্র চালানো হচ্ছে। ধুলো-আবর্জনার স্তুপের উপর শিশু ও মায়েরা বসেন। মাথার উপরে আচ্ছাদন না থাকায় শিশুদের পাঠের বিষয় প্রায় উঠে গিয়েছে।” আর এক বাসিন্দা সঞ্জয় বাউরি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছিলাম। নতুন ভবন যদি বা হল ওই ভবন এখনও চালু হল না। সম্প্রতি আমরা বিডিও-র কাছে নতুন ভবনে কেন্দ্র চালু করার আবেদন জানিয়েছি।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “ওই গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা ব্লক অফিসে এসেছিলেন। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছি।” সিডিপিও সন্দীপ পরামানিক বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান আমার কাছে এখনও ভবনের চাবি জমা দেননি। খোঁজ নেব।” যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান বলেন, “রঙের কাজ বাকি আছে। তাই চাবি জমা দেওয়া হয়নি।” |