লন্ডন অলিম্পিকের দৌড়ে এ বার কলকাতাকে হারিয়ে দিল শিলিগুড়ি। রীতিমতো ইতিহাস গড়ে।
দু’দিন আগেই অলিম্পিকের টিকিট পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরের মেয়ে অঙ্কিতা দাস। রবিবার দুপুরে হংকংয়ে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার ছেলে সৌম্যজিৎ ঘোষ টিকিট পেলেন ভারতের সেরা দুই তারকা শরদ কমল ও অমলরাজকে টপকে। বাংলার টেবলটেনিসে কোনও দিন একসঙ্গে দুই খেলোয়াড় অলিম্পিকে যাননি।
শিলিগুড়ির আর এক গর্ব, ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক ভরত ছেত্রী। ভরতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কালিম্পংয়ে। এখন তাঁর পরিবার থাকে শিলিগুড়িতে। ভরতও ভারতের হয়ে অলিম্পিকে যাচ্ছেন। এই তিন জনের সঙ্গে বাংলা থেকে এখনও পর্যন্ত শুটার জয়দীপ কর্মকার অলিম্পিকের যোগ্যতামান পেরিয়েছেন।
সুইডেনের কার্লসন অ্যাকাডেমিতে অনেক দিন ট্রেনিং নিচ্ছেন মান্তু ঘোষের ছাত্র সৌম্যজিৎ। দু’বছর আগে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব জুনিয়র সার্কিটে চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১১ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দল ব্রোঞ্জ জেতে। সেই দলের সদস্য ছিলেন সৌম্যজিৎ।
হংকং থেকে সৌম্যজিৎ বললেন, সুইডেনে যাওয়াই তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট, “আমি এই মরসুমেও সুইডেনে থাকতে চাই।” কাকে সাফল্য উৎসর্গ করছেন? জবাব, “যাঁরা আমায় আশীর্বাদ করেছেন, তাঁদের। বিশেষ করে দুই ব্যক্তিগত কোচ মান্তুদি, সুব্রতদা, জাতীয় কোচ ভবানী মুখোপাধ্যায়, সুইডিশ কোচ পিটার কার্লসন।” সৌম্যজিতের আদর্শ শিলিগুড়ির শুভজিৎ সাহা। অন্য খেলায় সচিন তেন্ডুলকর। বললেন, “পাঁচ বছর বয়সে টিটি শুরু করি। শিলিগুড়িতে টিটি প্রচুর জনপ্রিয় বলে তাই। শুভজিৎদা এখন ফেভারিট আমার। সচিন অল টাইম ফেভারিট।”
কাকতালীয় হলেও সত্যি, একই দিনে মান্তু ঘোষের কাছে টেবল টেনিস শিখতে যান অঙ্কিতা এবং সৌম্যজিৎ। অঙ্কিতাকে ওয়াইএমএ ক্লাবে এবং সৌম্যজিৎকে দেশবন্ধু ক্লাবে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করেন তাঁরা। সৌম্য বললেন, “হংকং আসার সময় ভেবেছিলাম, সুযোগ আছে। পরে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। অমলরাজকে হারিয়ে ফিরে এলাম।” তাঁর পরের লক্ষ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া। |