|
|
|
|
বাংলায় কী করব আমরাই ঠিক করব, মত পুরমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
“আমরা সরকার গড়েছি। বামফ্রন্টকে হারিয়েছি। বাংলাটা আমাদের। বাংলায় কী করব, আমরাই ঠিক করব।” রবিবার খড়্গপুরের এক সভায় এমনই মন্তব্য করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “মাথা নত যদি করতেই হয়, তাহলে তা বাংলার মানুষের কাছে করব। নেত্রী বলেন, ‘পরাজিত হলে রুখে দাঁড়াও। জয়ী হলে বিনীয় হও।’ আমরা জয়ী হয়েছি। তাই আমাদের এখন বিনয়ী হতে হবে।”
রবিবার খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে যুব-তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনে এসেছিলেন পুরমন্ত্রী। ছিলেন সাংসদ তথা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী, পঞ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় কর্মীদেরই ‘প্রচারযন্ত্র’ হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন পুরমন্ত্রী। বলেন, “বড় বড় সংবাদপত্রগুলির একাংশ অপপ্রচার করছে। আমাদের নিজেদেরই এক-একটা প্রচারযন্ত্র হতে হবে। একজন যদি দশ জনকে বোঝাতে পারি, তাহলে আর সংবাদপত্রের দরকার হবে না!” সম্প্রতি ঝড় তোলা কার্টুন-কাণ্ড প্রসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য, “কে একটা কার্টুন করল। মুখে রক্ত মাখাল। আমাদের কিছু যায় আসে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনার কথা জানতেই না। পুলিশ কমিশনারও জানতেন না। থানায় অভিযোগ হয়েছিল। পুলিশ গ্রেফতার করেছে।” মঞ্চের পিছনে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখিয়ে ফিরহাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের শক্তি। আমাদের ইমেজ। ওরা (বিরোধীরা) চাইছে, ওই ইমেজ নষ্ট করতে।” রাজ্যের নতুন সরকার বাংলার মানুষের জন্য ‘যথাসাধ্য কাজ করছে’ বলেও এ দিন দাবি করেন পুরমন্ত্রী। |
|
যুব-তৃণমূলের সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী ও ফিরহাদ হাকিম। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে আসে জঙ্গলমহল প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলে শান্তি এল কী ভাবে? দু’টাকা কেজি চাল, নতুন কলেজ, সেতু তৈরির পরিকল্পনা। স্থানীয় যুবকদের পুলিশে চাকরি দেওয়া। শুধু উন্নয়ন দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী নতুন পথ দেখাচ্ছেন।” শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর মতে, “মানুষ শান্তিতে আছেন। সুস্থ আছেন। এর থেকে বড় উন্নয়ন আর কী হতে পারে!” আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই অঞ্চলে-অঞ্চলে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেন সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃত্ব। গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতোর পরামর্শ, “এই ১১ মাসে কী হয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় বলতে হবে। পঞ্চায়েতে জয়ী না হলে উন্নয়নের কাজ হবে না।”
জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই দলীয় কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। মাঝেমধ্যেই ঘটছে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতির মত, “ক্ষমতায় আসা কঠিন। ক্ষমতা ধরে রাখা আরও কঠিন। আমরা সবাই কর্মী। এ কথা মনে রাখতে হবে।” আর জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও কাজ করবেন না। শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে চলুন।” যুব-তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “বহু ঘর পুড়েছে। বহু কর্মী খুন হয়েছে। আমাদের নেতারা যখন বলেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না।’ আমরা তাতে সিলমোহর দিলাম!” |
|
|
|
|
|