পুলিশকর্মী, হোমগার্ডকে ‘ক্লোজ’
ডাকাতি করতে গিয়ে ‘ধর্ষণের’ হুমকি, মারধর
ডাকাতি করতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর যুবতী মেয়েকে ‘ধর্ষণ’-এর হুমকি দিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে মার খেলেন ওই যুবতীর মা। তাঁর দু’হাতে নোড়া দিয়ে আঘাত করল দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক পেটানো হল ওই ব্যবসায়ীকেও।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাট থানার হাজিপুর হাটতলায়। ঘটনাস্থল থেকে মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে পুলিশ ক্যাম্প। ডাকাতেরা পালানোর পরে জখম অবস্থায় ওই মহিলা নিজে থানায় গিয়ে খবর দিলেও রাতে পুলিশ যায়নি বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া জানান, ওই ক্যাম্পের দু’জন পুলিশকর্মী ও দু’জন হোমগার্ডকে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। এসডিপিও বলেন, “নতুন ক্যাম্প তৈরি করে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ জনা ছ’য়েকের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দলটি তালা ভেঙে ঢোকে গোঘাটের ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সে সময়ে বাড়িতে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। ওই যুবতী বীরভূমের সিউড়ির একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছুটিতে এসেছিলেন বাড়িতে। ব্যবসায়ীর কথায়, “ওরা ঘরে ঢুকে মারধরের ভয় দেখাচ্ছিল। কয়েক ভরি সোনার গয়না, বেশ কয়েক হাজার টাকা বের করে দিই। তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি। আরও টাকা দিতে বলে। সামান্য দু’এক কথার পরেই ওরা আমাকে সিঁড়িতে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করে।”
এরপরে তাঁকে টানতে টানতে ডাকাতেরা নিয়ে যায় তিনতলায়। সেখানে একটি ঘরে ছিলেন ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে। দুষ্কৃতীদের ‘শাসানি’তে তিনি দরজা খুলে দিতে বাধ্য হন। বাবা-মেয়েকে দোতলায় নামিয়ে আনে দুষ্কৃতীরা। বলে, আরও ৩ লক্ষ টাকা না দিলে মেয়েটিকে ‘ধর্ষণ’ করবে।
ওই যুবতীর কথায়, “ডাকাতরা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। অভব্য আচরণও শুরু করে। মা ওদের হাতে-পায়ে ধরে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ওরা আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নীচে নামিয়ে নিয়ে যেতে চাইছিল। মা চিৎকার করে আমাকে ওদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ বার আমাকে ছেড়ে ওরা মা-কেই মেঝেতে ফেলে মারধর শুরু করে। দু’জনে দু’দিক থেকে হাত ধরে নোড়া দিয়ে বার বার ঘা মারছিল। শাবল এনে খোঁচাও দেয়।” ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর যৌনাঙ্গেও দুষ্কৃতীরা আঘাত করে বলে অভিযোগ।
ঘণ্টা খানেক ধরে তাণ্ডব চালিয়ে অবশ্য আর টাকা পায়নি দুষ্কৃতীরা। রাত আড়াইটে নাগাদ তারা পালায়। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী বলেন, “জখম অবস্থায় আমি কিছু ক্ষণ পরে ক্যাম্পে গিয়ে পুলিশকে সব বলি। কিন্তু ওরা কোনও উত্তরই দিচ্ছিল না। সকালে আমরা থানায় অভিযোগ জানাই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.