ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তিন বিধায়কের ভোটদানের ঘটনাকে ভিত্তি করে ঝাড়খণ্ডে ভোট কেনাবেচার অভিযোগে রাজ্যসভার বাতিল ভোটের তদন্তে এগোতে চাইছে সিবিআই। আর ঠিক এই কারণেই গত কাল তদন্তের শুরুতেই গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী তিন বিধায়কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের আফিসারেরা। এমনকী তদন্তের স্বার্থে ডালটনগঞ্জ বিধানসভা ক্ষেত্রের বিধায়কের রাঁচির বাড়িটি সিল করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটের গোপনীয়তা ভঙ্গ করে ভোটদানের অভিযোগ রয়েছে তিনজন বিধায়কের বিরুদ্ধে। এঁরা হলেন: ডালটনগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ ত্রিপাঠী, জামতাড়ার জেএমএম বিধায়ক বিষ্ণু ভাইয়া এবং দেওঘরের আরজেডি বিধায়ক সুরেশ পাসোয়ান। গত কাল ওই তিন বিধায়কের বাড়িতেই সিবিআইয়ের অফিসারেরা হানা দিয়েছিলেন।
সিবিআই হানা নিয়ে ডালটনগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ ত্রিপাঠী বলেন, “কাল আমার রাঁচির বাড়িতে সিবিআই অফিসারেরা এসেছিলেন। আমি তখন রাঁচিতে ছিলাম না। সিবিআই বাড়িটি সিল করে দিয়ে গিয়েছে।”
পাশাপাশি রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সাফাইও এ দিয়েছেন কৃষ্ণানন্দবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যসভার ভোট দেওয়ার ব্যাপারে দলের হুইপ ছিল। মূলত দলের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিতেই ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছি। ভোটপত্রটি দলের পোলিং এজেন্টের সামনে এনে ভোট দিয়েছি।”
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠতে পারে, দলীয় হুইপ কী শুধু দলের এক জন বিধায়কের উপরই প্রযোজ্য! ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। দলীয় হুইপ মানার প্রশ্নে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ একজন বিধায়ককে দিতে হল কেন?
জামতাড়ার জেএমএম বিধায়কের সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি ধরেন অন্য এক ব্যক্তি। তাঁর নাম মনোজ ঝা। তিনি নিজেকে বিধায়কের আপ্ত-সহায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, বিধায়ক এখন দিল্লির একটি হাসপাতালে। এ দিনই তাঁর কানের কাছে একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত জামতাড়ার বিধায়ক বিষ্ণু ভাইয়ার আপ্ত-সহায়ক মনোজবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যসভার ভোটে নির্বাচনী বিধি ভেঙে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিষ্ণুবাবুর বিরুদ্ধে। ওই ব্যাপারে কথাবার্তা বলতে কাল বিধায়কের জামতাড়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের লোকজন এসেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক দিল্লিতে থাকায় সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও দেওঘরের আরজেডি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |