নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কবর থেকে তুলে এক বধূর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠাল পুলিশ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের ছোটতুড়িগ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মমতা বিবি (২৪)। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “কবর থেকে দেহ তোলা হয়নি। কবর দেওয়ার আগেই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ফোনে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যেহেতু বিয়ের সাত বছরের আগেই ওই মৃত্যু হয়েছে। আইন মেনে ময়না-তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে মুর্শিদাবাদের রমিপুরের মমতার সঙ্গে বিয়ে হয় ছোটতুড়িগ্রামের মাসুদ শেখের। বছর তিনেকের দু’টি যমজ ছেলেও রয়েছে তাঁদের। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় মমতার। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাবা নূর ইসলাম শেখকে। গ্রামবাসীদের একাংশ ও দুই পরিবারের উপস্থিতিতে স্থানীয় কবরস্থানে কবর দেওয়ার তোড়জোড়ও শুরু হয়। ইতিমধ্যে টেলিফোনে ময়ূরেশ্বর থানায় মমতার মৃত্যু সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে ফোন যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ কবর দেওয়া আটকাতে গেলে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীদের একাংশের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশের নিষেধ অবজ্ঞা করে মমতার মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরে বিকেল ৩টে নাগাদ অবশ্য ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতোর উপস্থিতিতে দেহ কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
মৃতার স্বামী মাসুদ শেখের দাবি, “গৃহাস্থালির কাজ করতে করতে স্ত্রী হঠাৎ চেতনা হারায়। তারপরেই বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই বলেই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” একই অভিমত মৃতার বাবারও। তিনি বলেন, “বিয়ের পর ওদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়নি। পুলিশি ঝামেলা এড়াতেই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।” |