ফুটবল খেলতে ট্রাক্টরের ট্রলি উল্টে মৃত্যু হল এক কিশোরের। আহত ১২ জন। পূর্বস্থলীর সিমলাগ্রামে শনিবাকর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দিব্যেন্দু দাস (১৬)। বাড়ি পূর্বস্থলীরই যজ্ঞেশ্বরপুর গ্রামে। গুরুতর জখম অবস্থায় দিলীপ মণ্ডল ও বিক্রম দাস নামে তার দুই সঙ্গীকে নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, চালক মদ্যপ ছিলেন। সে জন্যই নিয়ন্ত্রণ হারায় ট্রাক্টরটি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেড়তলা পঞ্চায়েতের সিমলাগ্রামে এ দিন রাতে একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল। কাছাকাছি যজ্ঞেশ্বরপুর ও উখড়া গ্রামের কয়েকজন তরুণ ছেলেদের নিয়ে জন্য পনেরোর একটি দল হয়। প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রথমে বেলেরহল্ট স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে দলটি। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তারা ফলেয়া স্টেশনে নামে। উদ্যোক্তাদের তরফে তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ট্রলি লাগানো ট্রাক্টর পাঠানো হয়। মিনিট পনেরো পরে সিমলাগ্রামে ঢোকার মুখে ট্রলিটি উল্টে যায়। ফলে দলটি ট্রলির তলায় চাপা পড়ে। নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়ার সময়ে মৃত্যু হয় দিব্যেন্দুর। তার দাদা বিক্রম ও অর্ধেন্দুও ওই ফুটবল দলে ছিল। পুলিশ জানায়, ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।
|
জোট গড়েও কাটোয়ার ইসলামপুর জি এম বি ইনস্টিটিউশনে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জিততে পারলেন না কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার এই স্কুলে ভোট ছিল। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ৩৫০ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮০ জন ভোট দেন। ফল বেরোতে দেখা যায়, ৫-১ ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। আগে এই স্কুলের পরিচালন সমিতি সিপিএমের দখলেই ছিল। এ দিন ফল বেরোনোর পরে সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধেই ভোট দিয়েছেন অভিভাবকেরা।” পক্ষান্তরে, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য রাধানাথ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “কেন এরকম ফল হল, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
|
মেমারি ১ ব্লকের শশীনাড়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল কংগ্রেস। রবিবার তৃণমূলকে ৩০-১৮ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় তারা। এআইসিসি সদস্য সেলিম মোল্লা, জেলা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মী নায়েকদের দাবি, “এই সমবায় সমিতিতে আমাদের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।” মেমারির তৃণমূল বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডল বলেন, “হারের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।” সিপিএম এই ভোটে কোনও প্রার্থী দেয়নি। |