দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত সমবায় ঋণদান সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিল না আইএনটিটিইউসি। জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই কারখানায় আমাদের সংগঠন গড়ার প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।” কিন্তু পুরভোটের প্রাক্কালে রাষ্ট্রায়ত্ত এই কারখানায় আইএনটিটিইউসি প্রার্থী না দেওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার ছিল নির্বাচন। গভীর রাতে গণনা সম্পন্ন হলে দেখা যায়, মোট ৫৮টি আসনের মধ্যে সিটু পেয়েছে ২৮টি। আইএনটিইউসি’র দুই গোষ্ঠী আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছে ১৬ ও ১৩টি করে আসন। অন্য দিকে, আইএনটিটিইউসি-র নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এক জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যদিও সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাতবাবুর দাবি, তাঁরা কোনও প্রার্থী দেননি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ থেকে একটানা এই সমবায় ঋণদান সমিতিতে পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছে সিটু। ২০০৯ সালে পরিস্থিতি বদলায়। আইএনটিইউসি পরিচালন সমিতি ছিনিয়ে নেয় সিটুর হাত থেকে। কিন্তু সমিতি পরিচালনা করার সময় বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য শুরু হয় আইএনটিইউসি নেতা বিকাশ ঘটক ও শিবু দাসের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সংগঠন দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শুক্রবারের নির্বাচনে বিকাশ ঘটকের গোষ্ঠী ১৬টি এবং শিবু দাসের গোষ্ঠী ১৩টি আসন দখল করে।
এ বারের নির্বাচনে সিটু পেয়েছে ৪৮.২৭ শতাংশ ভোট। আইএনটিইউসি-র দুই গোষ্ঠী পেয়েছে ২৭.৫৮ শতাংশ এবং ২৭.৪১ শতাংশ। ফের পরিচালন সমিতির কর্তৃত্ব পেয়ে স্বভাবতই খুশি সিটু নেতৃত্ব। কারখানার সিটু নেতা রামপঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরিবর্তনের পশ্চিমবঙ্গ মানুষ দেখছেন। তার প্রতিফলন দেখা গেল এই নির্বাচনেও।” তিনি জানান, সামনেই পুরসভার নির্বাচন। তার আগে আইএনটিটিইউসির এই নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এ’ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি প্রভাতবাবু। তিনি জানান, কারখানায় তাঁদের সংগঠন মজবুত করে গড়া হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তাঁরা কোমর বেঁধে নামবেন। |