মালদহে দূষণের দুর্বিষহ হাল |
আরও আছে। ‘রথবাড়ি’ লেভেল ক্রসিং-এ দশ মিনিট অন্তর অন্তর যানজট তৈরি হয়। গেট বন্ধ হলেও মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। সাবওয়ে খুবই জরুরি। পানীয় জলের অবস্থাও তথৈবচ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নির্ভয়ে ব্যবহার করে শহর ক্রমাগত দূষিত করে তুলছেন। অথচ কাছেই রয়েছে ছোট শহর রায়গঞ্জ। যেখানে পৌরসভা এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ক্যারিব্যাগ একেবারেই অদৃশ্য। জানি না, মালদহের মতো জলবহুল শহরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কেন চুপচাপ। শহর দূষণমুক্ত করার জন্য অবিলম্বে নীরবতা ভেঙে পৌরসভার এই সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। দরকার নাগরিক সচেতনতা। কর্তৃপক্ষ এ দিকে একটু নজর দিন। |
শেষমেশ বন্ধের কাছে হার মানতে হল। রাজ্যকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তাবিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২-র ইতিহাস পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হল। ১১ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যবস্থা করলেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পরীক্ষার জন্য কি বন্ধ পিছিয়ে দেওয়া যেত না? রুটিন তো এক বছর আগেই তৈরি হয়। সর্বভারতীয় বন্ধ, তাই পেছানো যাবে না এ বক্তব্য বাম-তরফ থেকে উঠে এসেছে। পরীক্ষার স্বার্থে বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গে বন্ধকে সমর্থন না করলে ১১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, তাদের পরিবারের সহানুভূতি পেতেন। রাজনীতির স্বার্থে এ বাংলায় সব কিছুকে বলি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ডান-বাম সমান। ধর্মঘট শুধু চাকুরিজীবীদের নিখাদ ছুটি পাইয়ে দেওয়ার দিন। কাজ না করে বেতনের দিন। কিন্তু কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, খেটে খাওয়াদের কথা কেউ ভাবে না। আজ পর্যন্ত যে সব উদ্দেশ্যে বন্ধ ডাকা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ক’টা সফল হয়েছে? শিল্প, ভ্রষ্টাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যে বন্ধ ডাকা হয়েছে, তাতে যে জিনিসপত্রের দাম কমবে, শ্রমিকের স্বার্থরক্ষা হবে, এমন গ্যারান্টি কে দেবে? উদ্দেশ্য সফল না হলে বন্ধ-আহ্বায়ক নেতারা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে পারবেন কি? |