উত্তরের চিঠি
মালদহে দূষণের দুর্বিষহ হাল
আমি মালদহ শহরের এক জন অস্থায়ী বাসিন্দা। স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনোর জন্য গত দেড় বছর ধরে রয়েছি। এখানে এসে বুঝতে পেরেছি, ‘মালদা’ কাকে বলে। পৌরসভার দূষণ নিয়ন্ত্রণের অফিস থাকলেও, কোনও কাজ হয় না। বিশেষ করে ‘রথবাড়ি’ সংলগ্ন এলাকায়। যে এলাকাকে মালদার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়, সেই রথবাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। ‘টুরিস্ট লজ’ ও ‘মালদা অডিটোরিয়াম’-এর সামনের রাস্তা দেখলে মনে হয়, এলাকা দু’টি মালদহ পৌরসভার বাইরে। রাস্তা অসংখ্য গর্ত ও নোংরায় ভর্তি। কিন্তু এই নোংরা পরিষ্কার করার ব্যাপারে কারও কোনও গরজ দেখি না। ভাঙাচোরা রাস্তাও ঠিক করা হয় না। ‘রথবাড়ি বাসস্ট্যান্ড’-এর অবস্থা আরও ভয়াবহ। চার দিকে পচাগলা জিনিস ছড়িয়ে থাকে। দুর্গন্ধে চলাফেরা দায়। কিছু ছোটখাট গলিও একই ভাবে নোংরায় ভরা। যা এই শহরের ঐতিহ্য ও গরিমা দুই-ই নষ্ট করছে। এর ওপর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
আরও আছে। ‘রথবাড়ি’ লেভেল ক্রসিং-এ দশ মিনিট অন্তর অন্তর যানজট তৈরি হয়। গেট বন্ধ হলেও মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। সাবওয়ে খুবই জরুরি। পানীয় জলের অবস্থাও তথৈবচ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নির্ভয়ে ব্যবহার করে শহর ক্রমাগত দূষিত করে তুলছেন। অথচ কাছেই রয়েছে ছোট শহর রায়গঞ্জ। যেখানে পৌরসভা এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ক্যারিব্যাগ একেবারেই অদৃশ্য। জানি না, মালদহের মতো জলবহুল শহরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কেন চুপচাপ। শহর দূষণমুক্ত করার জন্য অবিলম্বে নীরবতা ভেঙে পৌরসভার এই সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। দরকার নাগরিক সচেতনতা। কর্তৃপক্ষ এ দিকে একটু নজর দিন।
বন্ধের কাছে হার
শেষমেশ বন্ধের কাছে হার মানতে হল। রাজ্যকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তাবিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২-র ইতিহাস পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হল। ১১ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যবস্থা করলেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পরীক্ষার জন্য কি বন্ধ পিছিয়ে দেওয়া যেত না? রুটিন তো এক বছর আগেই তৈরি হয়। সর্বভারতীয় বন্ধ, তাই পেছানো যাবে না এ বক্তব্য বাম-তরফ থেকে উঠে এসেছে। পরীক্ষার স্বার্থে বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গে বন্ধকে সমর্থন না করলে ১১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, তাদের পরিবারের সহানুভূতি পেতেন। রাজনীতির স্বার্থে এ বাংলায় সব কিছুকে বলি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ডান-বাম সমান। ধর্মঘট শুধু চাকুরিজীবীদের নিখাদ ছুটি পাইয়ে দেওয়ার দিন। কাজ না করে বেতনের দিন। কিন্তু কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, খেটে খাওয়াদের কথা কেউ ভাবে না। আজ পর্যন্ত যে সব উদ্দেশ্যে বন্ধ ডাকা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ক’টা সফল হয়েছে? শিল্প, ভ্রষ্টাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যে বন্ধ ডাকা হয়েছে, তাতে যে জিনিসপত্রের দাম কমবে, শ্রমিকের স্বার্থরক্ষা হবে, এমন গ্যারান্টি কে দেবে? উদ্দেশ্য সফল না হলে বন্ধ-আহ্বায়ক নেতারা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে পারবেন কি?
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
‘উত্তরের চিঠি’
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.