লক্ষ্য যখন গ্রামোন্নয়ন
ভারতে যত মানুষ বসবাস করেন তার অধিকাংশ থাকেন গ্রামাঞ্চলে। এদের অনেকেই আবার রয়েছেন দারিদ্রসীমার নীচে। ফলে গ্রামোন্নয়ন বা রুরাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকলে তার সুযোগ প্রচুর। তবে কৃষি বা তার আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন ছাড়া, মানব সম্পদ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, আর্থসামাজিক পরিকাঠামোও কিন্তু রুরাল ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পড়ে। ফলে দেশে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের সার্থক রূপায়ণের জন্য বাড়ছে প্রশিক্ষিত কর্মীর চাহিদা।
রুরাল ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয় এমন অনেক প্রতিষ্ঠানেই কিন্তু ভর্তি হতে হয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে। জেভিয়ার ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, ভুবনেশ্বর (www.xibm.ac.in) এই বিষয়ে দু’বছরের পূর্ণ সময়ের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স করতে হলে আইআরএমএ বা জ্যাট পরীক্ষা দিতে হবে। ইনস্টিটিউট অব রুরাল ম্যানেজমেন্ট, আনন্দ, গুজরাত-এ (www.irma.ac.in) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন রুরাল ম্যানেজমেন্ট (২ বছর) এবং ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ইন রুরাল ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়। ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ জয়পুর-এ রুরাল ম্যানেজমেন্ট-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। এ ছাড়া, হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এ দূরশিক্ষার মাধ্যমে এক বছরের সাস্টেনেবল রুরাল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করতে পারে ছাত্রছাত্রীরা।

• এই কোর্সে ভর্তি হতে যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই চলে। তবে কোথাও কোথাও স্নাতকস্তরে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর চায়।
• বিভিন্ন এনজিও, সমবায় ব্যাঙ্ক (নাবার্ড, এইচডিএফসি ইত্যাদি), বিমা সংস্থা, রিটেল পরিষেবা অথবা বহুজাতিক সংস্থায় কাজ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গবেষণা করা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং তার অধীনস্থ বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রেও।

ফোকাস


শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

লাইব্রেরি ও ইনফরমেশন সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই। সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা এবং ডিগ্রি কোর্স কলকাতার কোথায় কোথায় পড়ার সুযোগ আছে? যোগ্যতা কী? স্নাতক হওয়ার পর ‘বি এল আই এস’ পড়ার জন্য কী ভাবে তৈরি হতে হয়?

সোহম ধর, শিবপুর, হাওড়া

পশ্চিমবঙ্গে লাইব্রেরি সায়েন্স ডিপ্লোমা কোর্স নেই। সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হয় বেঙ্গল লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন-এ (ফোন: ৬৫৩৩-২১০২)। এখানে দু’ধরনের কোর্স আছে। একটি সপ্তাহান্তের (শনি ও রবিবার ক্লাস হয়) কোর্স এবং অন্যটি সপ্তাহে ৫ দিনের কোর্স। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর এখানে আবেদন করা যায়। এ ছাড়া যে কোনও বিষয়ে অনার্স কোর্স করার পর ১ বছরের বি এল আই এস (ব্যাচেলর ইন লাইব্রেরি সায়েন্স) কোর্স করা যায় কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বি এল আই এস-এর পর সাধারণ ভাবে স্নাতকোত্তরও করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স-এ স্নাতক (বি এল আই এস), স্নাতকোত্তর (এম এল আই এস), এম ফিল এবং পিএইচ ডি কোর্স করা যায়। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ৫ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম এল আই এস কোর্স করা যায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের পাশাপাশি এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে অ্যাডমিশন টেস্টের ওপর। যাদবপুরে বি এল আই এস, এম এল আই এস ও এম ফিল ছাড়াও আছে ২ বছরের মাস্টার্স ইন ডিজিটাল লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট কোর্স। কলকাতা, কল্যাণী, যাদবপুরে বিএলআইএস কোর্সে ভর্তি করা হয় অনার্স অথবা এম এ-র নম্বরের ভিত্তিতে। সে ক্ষেত্রে অনার্স এবং এম এ পরীক্ষায় ভাল ফল না করলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়।

ভবিষ্যতে ‘বিসিএ’ পড়তে চাই। এ ক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন’কে কম্বিনেশনে রাখাটা কি আবশ্যিক? কোথায় পড়ায়? এর পর ভাল চাকরি পাওয়া যাবে নাকি অন্য কোনও কোর্স করতে হবে?
সুদীপ্ত মাহাত, পুরুলিয়া

‘বি সি এ’ (ব্যাচেলর ইন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন) পড়ার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অথবা কম্পিউটার সায়েন্স অথবা অঙ্ক থাকতেই হবে। ডব্লু বি ইউ টি-র অধীনে একাধিক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (যেমন, টেকনো ইন্ডিয়া, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, জে আই এস কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইত্যাদি), দুর্গাপুরের বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ পশ্চিমবঙ্গের আরও অনেক কলেজে ‘বি সি এ’ পড়ানো হয়। ‘বি সি এ’ করে কলসেন্টারে, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ পাওয়া যায়। তবে ভাল কাজ পেতে হলে ‘এম সি এ’ করাটা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি সহ একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমসিএ পড়ানো হয়। ডব্লু বি ইউ টি-র অধীন বহু প্রতিষ্ঠানে এমসিএ পড়া যায়। তবে ডব্লু বি ইউ টি-র অধীন কলেজগুলিতে এম সি এ পড়ার জন্য ‘জেকা’-র মাধ্যমে আসতে হয়। যেহেতু বি সি এ পড়ে যে-সব চাকরি পাওয়া যায়, তা মূলত বেসরকারি (সামান্য কিছু সরকারি পদ আছে কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য), তাই বেতন বাঁধাধরা কিছু থাকে না। মাস্টার্স করা না থাকলে ভাল বেতনের চাকরি পাওয়া যথেষ্ট কঠিন।

মেরিন সায়েন্স নিয়ে এম এসসি কোথায় পড়ানো হয়? কী যোগ্যতা লাগে? বিষয়টি পড়ে গবেষণা বা চাকরির সুযোগ কেমন?
দিয়া গাঙ্গুলি, হুগলি

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্সে এম এসসি পড়ানো হয়। ফিজিক্স, জুঅলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বটানি, ফিজিয়োলজি, জিয়োলজি ইত্যাদি বিষয়ে অনার্স থাকলে এবং পাস-এ কেমিস্ট্রি থাকলে এই বিষয়ে আবেদন করা যায়। এ ছাড়া বেরহামপুর, কোরাপুট সেন্ট্রাল, আন্নামালাই, কোচিন, গোয়া ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়েও মেরিন সায়েন্স পড়ানো হয়। মেরিন সায়েন্সকে কোথাও কোথাও মেরিন বায়োলজিও বলে। চাকরির ক্ষেত্রে এই বিষয়টির যথেষ্ট কদর আছে। রাজ্য দূষণ পর্ষদ, কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদ, পরিবেশ দফতর, মৎস্য দফতর সহ জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, বিভিন্ন এন জি ও, মাছের খাবার তৈরির কাজে নিয়োজিত দেশীয় ও বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পাওয়া যায়। গবেষণার ক্ষেত্রে সি এস আই আর, ইসরো, মিনিস্ট্রি অব আর্থ সায়েন্স, পরিবেশ মন্ত্রক ইত্যাদির একাধিক ফেলোশিপ আছে। সুযোগ আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনারও।
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:

হোম পেজ, প্রস্তুতি,


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.