|
|
|
|
পূর্বে সিপিএমের জেলা কমিটি |
নতুন কমিটিতে সেই পুরনো মুখ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু নতুন জেলা কমিটিতে রয়ে গেলেন লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া, অমিয় সাউয়ের মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর ‘আত্মগোপনকারী’ সদস্যেরা। জেলা সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন কানু সাহু। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, “৭০ জনের নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা সম্পাদক পদে কানু সাহু নির্বাচিত হয়েছেন।”
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনে গঠিত নতুন জেলা কমিটিতে অবশ্য অধিকাংশই পুরনো মুখ। পুরনো সদস্যদের মধ্যে মাত্র ৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ১০ জন নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাদ পড়া জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, লক্ষ্মণবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অনন্ত বেরা ও স্বপন দাস। অনন্ত বেরার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত হয়েছিল। আর লক্ষ্মণবাবুর আরও এক ঘণিষ্ঠ স্বপন দাসও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কমিটি গঠন নিয়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে লক্ষ্মণবাবু নিজের ঘণিষ্ঠ এক জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর ফোন মারফত অনন্তবাবুকে জেলা কমিটিতে রাখার ব্যাপারে রীতিমতো তদ্বির করেন। কিন্তু রাজ্য কমিটির সদস্য দীপক সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত অনন্তবাবু বাদ পড়েন। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন নন্দীগ্রামের নেতা আবসারউদ্দিন, পাঁশকুড়ার নেতা বাবুলাল নায়েক এবং কোলাঘাটের অরুণ দলুই।
এ দিকে, সম্মেলনের প্রতিবেদনে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পর থেকেই সারা জেলা জুড়ে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সন্ত্রাসের লক্ষ্য করে বাম আন্দোলনের প্রধান শরিক সিপিএমকে। সেই আক্রমণে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লক, খেজুরি ১ ও ২ ব্লক-সহ জেলার ৬টি ব্লক ও ১৬টি পঞ্চায়েত এলাকা পুরোপুরি সন্ত্রাস কবলিত। এ ছাড়াও ৫টি ব্লক ও ৮টি পঞ্চায়েত এলাকা আংশিক সন্ত্রাস কবলিত। বিরোধীদের ভয়ঙ্কর আক্রমণে ও সন্ত্রাসে হাজার পাঁচেক মানুষ ঘরছাড়া ছিলেন। বর্তমানে শ’পাঁচেক মানুষ ঘরছাড়া আছেন। ১১৩৮টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পার্টি ও ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুর ও বেদখল হয়েছে ১৪৫টি। মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছে ১২০০টি। এতে ১৩০০০ নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর অস্ত্র উদ্ধার ও কঙ্কাল কাণ্ডে মিথ্যা মামলায় পার্টি নেতৃত্বকে জড়ানো হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ১৭০ জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। আর এই ধরনের এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচন লড়তে হয়েছে। |
|
|
|
|
|