সম্পাদক সমীপেষু ...
হায় পুরী!
বাঙালিদের প্রথম আকর্ষণীয় স্থান হল পুরী। কিন্তু, পুরীর হোটেলে খাবার পছন্দ না-হলে, নিজেরা রান্না করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও জ্বালা। বাজারটি অত্যন্ত নোংরা। পুরীর রাস্তায় হাইড্রেন চোখে পড়ে না। বড় বড় হোটেলের নোংরা জল অনবরত রাস্তা দিয়ে গড়াচ্ছে। ওই নোংরা জলে পা দিয়েই মানুষেরা পুজো দিতে, কেনাকাটা করতে বা হোটেলে খেতে যান। বিচ জুড়ে শুধুই দোকান। মাঝেমধ্যেই চায়ের দোকান। বেঞ্চ ও প্লাস্টিকের চেয়ার অনেকটা জায়গা জুড়ে পাতা। প্রতিটি দোকানের আশেপাশে কুকুর। তাদের বিষ্ঠার দেখা প্রায়ই পাওয়া যায়। চায়ের দোকানের চেয়ার ছাড়াও দশ টাকা প্রতিটি হিসাবে ভাড়া দেওয়ার জন্য মজুত থাকে।
বালুকাবেলা! শুধুই দোকান।
চড়বার জন্য উট ও ঘোড়া কেবলই যাতায়াত করছে। তাদের গায়ের গন্ধ ও বিষ্ঠাতেও গা ঘিনঘিন করে। বালিতে বসলে নকল মুক্তো, সলতে-সহ নানাবিধ সামগ্রীর ছোট বড় হকাররা সমুদ্র উপভোগের যে ব্যাঘাত ঘটায়, তা সহজেই অনুমেয়। আর স্বর্গদ্বার? অগণিত লোক সমাগম, দোকানিদের পশরা, শবদাহের গন্ধ। শ্মশানের সামনেই সার সার খাবারের দোকান। কী করে অনুমতি মেলে, তাও জানি না! উড়ন্ত খেলনা-বল বা আলো যখন-তখন মাথার উপর আচমকা পড়ার আশঙ্কা। তার উপর কোনও ঝড়ঝঞ্ঝা ছাড়াই মারাত্মক লোডশেডিং। ভ্রমণরসিকদের কাছে কিন্তু পুরী ক্রমশই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটে
উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটে ‘ব্রাত্য’ তাঁরাই শীর্ষক পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেদনের (কলকাতা ২১-১২) বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার বক্তব্য বলে যা ছাপা হয়েছে, তা বিকৃত এবং ‘মেরে তাড়িয়ে দেব’ এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য।
প্রতিবেদকের উত্তর: প্রতিবেদনে যা লেখা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ সত্য। উক্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরাও সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন।

কোন নাট্যোৎসব প্রাচীনতম
জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার পাতায় ‘প্রাচীনতম নাট্যমেলায় শহরে এ বার ইজরায়েল’ (১৬-১২) শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করছেন, “দেখতে গেলে নান্দীকারের নাট্যোৎসবই কিন্তু প্রথম কলকাতায় বসে সারা ভারতের নাট্যচর্চার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছিল”। নান্দীকারের নাট্যমেলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও ইতিহাসের খাতিরে জানাই যে, ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরের শেষে দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পর্যটন উৎসব উপলক্ষে যে নাট্যমেলা আয়োজিত হয়েছিল সেখানেই প্রথম সারা ভারত থেকে কিছু নাট্যদল এসে পরিবেশন করেছিল নানা নাটক। শুধু তাই নয়, সেই উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকটি লোকনাট্য পরিবেশিত হয়েছিল মুক্তমঞ্চে। আমি উপস্থিত হয়েছিলাম উত্তরবঙ্গ থেকে একটি লোকনাট্যর দল নিয়ে। ওই নাট্যমেলায় প্রথম হাবিব তনবীরের ‘চরণদাস চোর’ সকলের মন কেড়েছিল। বিস্তারিত প্রতিবেদন ছিল ‘দেশ’ পত্রিকায়। বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, সুব্রত পাল তখন সরকারের কর্মী হিসাবে এই উৎসবে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন। শ্রদ্ধেয় শম্ভু মিত্র, শাঁওলী মিত্রকে প্রতিদিন ওই মেলায় উপস্থিত থাকতে দেখেছি। তাঁরা সর্বভারতীয় নাটকগুলোই শুধু দেখতেন না, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে লোকনাট্যের অভিনয়ও অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করতেন। অভিনয়ের পরে তাঁদের লোকশিল্পীদের সঙ্গেও শ্রদ্ধা সহকারে কথা বলতে দেখেছি। মনে হয়, ওই রকম একটি নাট্যমেলা আয়োজনের নেপথ্যে পরামর্শদাতা ছিলেন স্বয়ং শম্ভু মিত্র। বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন আজকের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও নাট্য পরিচালক বিজয়লক্ষ্মী বর্মন এবং প্রচারবিমুখ নাট্য সংগঠক সুব্রত পাল।
প্রতিবেদকের উত্তর: পত্রলেখককে ধন্যবাদ, ১৯৮১ সালের অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে স্মৃতিচারণের জন্য। কিন্তু শহরের প্রাচীনতম নাট্যোৎসব হিসেবে ওই অনুষ্ঠানটি কেন গৃহীত হয় না, তার উত্তর পত্রলেখকের নিজের কাছেই রয়েছে। ১৯৮১-র নাট্য-আয়োজন ছিল, পর্যটন উৎসবের একটি অঙ্গ। স্বতন্ত্র নাট্যোৎসব নয়। কলকাতার বার্ষিক উৎসবের অভিজ্ঞানও নয়। সেই বিচারে ১৯৮৪ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসা নান্দীকারের জাতীয় নাট্যমেলারই ওই প্রাচীনত্বের আসন প্রাপ্য বলে মনে হয়।

ধোঁয়া ও আগুন
‘এশিয়াটিকে আগুন’ (২১-১২)সংবাদে লেখা হয়েছে, এশিয়াটিক সোসাইটির গ্লোসাইন বোর্ড থেকে ধোঁয়া বেরুতে থাকে। প্রকৃত ঘটনা হল, এশিয়াটিক সোসাইটির নয়, ধোঁয়া বেরোনোর ঘটনাটি ঘটে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পার্ক স্ট্রিট শাখার গ্লোসাইন বোর্ডের পাশ থেকে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পার্ক স্ট্রিট শাখাটি এশিয়াটিক সোসাইটির বাড়ির নীচে অবস্থিত। আগুন প্রথমে সোসাইটির রক্ষীদের নজরে আসে এবং তাঁরাই বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ও আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.