ভারতীয় সেনা-প্রতিনিধিদের চিন সফরে পাঠানোর সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাল বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ঘটনাকে ভারতীয় সেনাদের প্রতি ‘অপমান’ বলে বর্ণনা করেছেন। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা।
আগামী ১০ জানুয়ারি ৩০ জন সেনা-কর্তার একটি দল বেজিং যাবে বলে ঠিক ছিল। সেই দলের সদস্য ছিলেন অরুণাচলের বায়ুসেনা অফিসার মহন্ত প্যাঙ্গিং। তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে বেজিং। প্রতিবাদে ভারত প্রথমে গোটা সফরই বাতিল করে। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল করে ঠিক হয়, ৩০ জনের জায়গায় ১৫ সদস্যের দল চিনে যাবে। এই ঘটনায় বিজেপির মুখপাত্র তরুণ বিজয়ের কটাক্ষ, যদি ‘চিন ভারতের বিদেশনীতি ঠিক করে’ তা হলে তা হলে তা খুবই ‘দুর্ভাগ্যজনক।’ তাঁর কথায়, “এটি অরুণাচলের সেনাদের প্রতি অপমান। এতে তাঁদের মনোবল ভেঙে যাবে।”
অরুণাচলকে বরাবরই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। বিজেপির অভিযোগ, “এই ভাবে সরকার পিছনের দরজা দিয়ে চিনের এই দাবিকেই স্বীকৃতি দিল।” ফলে বিজেপি চায়, চিন সফরটাই বাতিল করুক দিল্লি। তরুণ বিজয় বলেন, “আমাদের অরুণাচলের সেনা অফিসারকে চিন যখন ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে, তখন আমরা কেন সেনা প্রতিনিধিদল পাঠাব? কাল যদি অরুণাচল থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী হন, এবং চিন তাঁকে ভিসা না দেয় তখনও কি প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে সে দেশে প্রতিনিধিদল পাঠাব?” বিজেপি মুখপাত্র আরও জানান, এই বিষয়ে তিনি আজ সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, “সম্ভবত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিষয়টি ঠিকঠাক জানেন না।”
বিজেপি যাই বলুক, নরমে-গরমেই চিনের উপর কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখতে চাইছে দিল্লি। তাই ১৫ জন সেনা-কর্তার দলকে চিন সফরে পাঠানো হচ্ছে। তা বুঝতে পেরেই বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা শুরু হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। আজ এক সাক্ষাৎকারে চিনের সহকারী বিদেশমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন জানিয়েছেন, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় চিন।
|
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত অসুস্থ হকিং
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
সুস্থতার কারণে আজ সশরীরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারলেন না স্টিফেন হকিং। তবে যোগ দিলেন ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে। এই প্রবাদ প্রতিম বিজ্ঞানীর ৭০তম জন্মদিন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। হকিং না আসার কারণ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যর লেজেক বরিসউইচ বলেন, “অধ্যাপক হকিংকে শুক্রবারই সবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি।” হকিং আসবেন এই খবরে রবিবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল উত্তেজনা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। হকিং না আসায় হতাশ হয়ে পড়েন সকলে। হকিংয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিন দিনের যে বিশেষ বিজ্ঞান সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, তাতেও হকিং থাকতে পারবেন না। ১৯৬৩ সালে মাত্রই ২১ বছর বয়সে স্নায়ুর বিরল রোগ মোটর নিউরনে আক্রান্ত হন হকিং। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর আয়ু আর মাত্র কয়েক মাস। বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হকিং। জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন হুইল চেয়ারে বসে। কথা বলেছেন বিশেষ প্রযুক্তির এক যন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু তাঁর বিজ্ঞান-ব্যাখ্যা বার বার বিস্মিত করেছে পৃথিবীকে। |