বাড়িতে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা ও ওই দুষ্কৃতীদের ধরতে তথ্য দেওয়ায় এক বধূকে সাহসিকতার পুরস্কার দিল বর্ধমান জেলা পুলিশ।
রবিবার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর ফিরদৌসি বেগম নামে ওই বধূর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি জানান, ফিরদৌসির তৎপরতার জন্যই ডাকাতিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে তালিত গ্রামে ফিরদৌসির বাপেরবাড়িতে হানা দেয় জনা দশেকের একটি ডাকাত দল। ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিরদৌসি। চিৎকার করে লোকজন জড়ো করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ডাকাতেরা তাঁকে মারধর করে লুঠপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই পাশের সিজেপাড়া গ্রামে তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। |
পরের দিন পুলিশ তদন্তে গেলে ফিরদৌসি দাবি করেছিলেন, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে কিছু দিন আগে তাঁর বাপেরবাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে যাওয়া মকবুল সরিফ। মকবুলের বাড়ি বীরভূমের নলহাটিতে। পুলিশ সুপার জানান, মকবুলকে গ্রেফতার করে জেরার পরেই ডাকাতিতে জড়িত অন্যদের খোঁজ মেলে। গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জনকে।
পুলিশ সুপার বলেন, “ফিরদৌসির দেওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই আমরা ডাকাত দলটিকে ধরেছি। দলের অন্যদেরও শীঘ্রই ধরা হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফিরদৌসির বাপেরবাড়ির লোকেরা ডাকাতদের সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাঁর বাবা শেখ হাসানও স্বীকার করেন, “নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ডাকাতদের সামনে যাইনি। ফিরদৌসি বরাবরই ডাকাবুকো। ছ’মাস আগে আউশগ্রামে ওর বিয়ে হয়েছে। ও-ই সে দিন রুখে দাঁড়ায়।” আর ফিরদৌসি বলেন, “ভয় না পেয়ে বাধা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু লোক জড়ো হওয়ার আগেই ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। এই পুরস্কার আরও সাহস জোগাবে।”
এ দিকে, তালিত-সিজেপাড়া এবং ভাতারে ডাকাতির ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে পুলিশের পোশাক, কয়েক হাজার টাকা, গয়না এবং দু’রাউন্ড গুলি ও দু’টি দেশি পিস্তল। |