রাতে স্কুলে হামলায় দুষ্কৃতী দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাচক্রে আগুন না ছড়ালেও স্কুলের ক্লাসরুমের চারটি দরজা পুড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের বনচুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোস্কারডাঙ্গা সারণা আদিবাসী উচ্চবিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্কুলের তরফে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্কুল সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককের অপহরণের ঘটনা ঘটে। লাগোয়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও একটি নলকূপ চুরির ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে এলাকায় যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলের নৈশপ্রহরীর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি, রাতে কেন স্কুলে হামলা চালানো হল তাও দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবদীপ্তি আচার্য বলেন, “দুষ্কৃতীরা স্কুলে ঢুকে দুটি ক্লাস রুমের চারটি দরজার সামনে খড় দিয়ে আগুন লাগায়। ঘটনার জেরে এদিন স্কুলে ভর্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে আলিপুরদুয়ার থানায় আভিযোগ জানানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের ভগ্নি নিবেদিতা ও মাদার টেরিজা নামের শ্রেণিকক্ষের চারটি দরজার সামনে আধপোড়া খড় পাওয়া গিয়েছে। চারটি দরজার বেশ কিছুটা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই রাতেই স্কুল থেকে দেড়শ মিটার দূরে মাঠ হাটখোলার একটি মিষ্টির দোকান থেকে বোঁদে, মিষ্টি, গজা সহ নানা খাবারের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। দুটি ঘটনায় একটি দলই জড়িত কী না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। স্কুলের নৈশপ্রহরী মহেশ ওরাঁও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলের একটি দোতলার ঘরে শুয়ে ছিলাম। একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিড়ির লোহার গেটটি তালা দেওয়া ছিল। রাত ২টা নাগাদ স্কুলের ছাদে ঢিল পড়ার শব্দ শুনে নীচে সিড়ির গেটের কাছে আসি। তার পরে দেখি গেটের ওপারে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা দুই জন লোক হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। চিৎকার করলে গুলি করার ভয় দেখায়। লক্ষ করি তিন জন স্কুলের গেটের কাছে দাড়িয়ে আছে। আরও চার জন খড় নিয়ে এসে একতলার বারান্দায় ক্লাস ফাইভ ও নাইনের ক্লাস রুম দুটির চারটে দরজার সামনে খড় দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। দলটি প্রায় দু’ঘণ্টা স্কুল চত্বরে ঘোরাফেরা করে বেরিয়ে চলে যায়। তবে আগুন নিভে যায়। পরে সকালে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাই।
|