সোনালি ব্যয় কমালেন, সাধন বাড়াচ্ছেন আয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক জন আয় বৃদ্ধির রাস্তায় হাঁটছেন। অন্য জন খরচ বাঁচানোর পথে।
আর্থিক অনটনে জেরবার রাজ্যের আয় বাড়ানোর পথে হাঁটছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ আবার বিধায়কদের কমিটির ভিন্ রাজ্য সফর আপাতত স্থগিত রেখে কোষাগারে চাপ কমাতে সচেষ্ট।
সরকারের আয় বাড়ানোর রাস্তা খুঁজতে মন্ত্রী থেকে আমলারা যখন জেরবার, ‘সীমিত ক্ষমতা’র মধ্যেই তখন তাঁর ক্রেতা সুরক্ষা দফতর তা করে দেখিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সাধনবাবু। গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর দফতরের আয় হয়েছে ৮ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। সাধারণ ক্রেতাদের যে ব্যবসায়ীরা ঠকাচ্ছেন, তাঁদের জরিমানা করেই এই অর্থ আদায় করেছেন দফতরের ইনস্পেক্টর ও কর্মীরা। সাধনবাবু শুক্রবার দাবি করেছেন, “আমার দফতর তো কর বসিয়ে টাকা আয় করতে পারে না। আমাদের হাতে যে আইন আছে, তা কাজে লাগিয়েই এই টাকা আদায় করেছি। আশা করছি, আগামী মার্চের মধ্যে ১৬ কোটি টাকা সরকারকে তুলে দিতে পারব।”
সোনালিদেবী খরচ বাঁচাতে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটির কর্নাটক ও কেরল সফর আপাতত স্থগিত রেখেছেন। সোনালির কথায়, “প্রিভিলেজ কমিটির ২০ জন সদস্যের আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেরল ও কর্নাটক সফরের কর্মসূচি ছিল। আমি কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে সদস্যদের বলেছি, আপাতত সফর স্থগিত রাখা হোক। এই সফরে সরকারের কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হত। বাম সরকারের আমলের দেনার বোঝাও আমাদের সরকারের মাথায়। এই অবস্থায় আমরা সফরে গেলে সরকারের টাকা খরচ হত।” তাঁর নেতৃত্বাধীন বিধানসভার গ্রন্থাগার সংক্রান্ত কমিটিরও কাশ্মীর সফরের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছেন সোনালি। তিনি বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
দফতরের আয় বাড়ানো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সাধনবাবুও। তিনি জানান, রাজ্যে এখন ২১টি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বা ফোরাম আছে। আরও ১০টি ফোরাম তৈরি এবং আরও ৪০ জন ইনস্পেক্টর নিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রীর কাছে। সাধনবাবুর বক্তব্য, “এর ফলে পরিদর্শনের কাজে গতি যেমন বাড়বে, তেমনই জরিমানা বাবদ আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।” |