আমরির অগ্নিকাণ্ডের পরে জেলা সদর ও শক্তিনগর হাসপাতাল ঘুরে দেখেছিলেন দমকল কর্মীরা। জানিয়েছিলেন হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা। যে দু’ একটা পুরনো অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার ছিল, তাও ব্যবহারের অযোগ্য বলে বাতিল করে দেওয়া হয়।
অবশেষে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে জেলা হাসপাতাল, স্কুলগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল নদিয়া জেলা প্রশাসন। সরকারি অফিসগুলিতে আগুন লেগে যাতে কোনও দরকারি কাগজপত্র নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি জেলার যে সব স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না হয় সেই সব স্কুলগুলিতে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার দেওয়া হবে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি তলায় একটি করে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ট্রেজারি ও রেকর্ড রাখার ঘরে একাধিক সিলিন্ডার রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “আমরি-কাণ্ডের পরে প্রশাসন আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি আমরা অন্যান্য সরকারি দফতরগুলিকেও এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দিয়েছি। আশা করব তারাও দ্রুত অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া হাসপাতাল ও স্কুলগুলিতে সিলিন্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেই অনুসারে টেন্ডার ডাকার কাজও শুরু হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের টাকায় প্রশাসনিক ভবনে, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় জেলার সমস্ত স্কুলগুলিতে এই অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে। জেলা হাসপাতাল ছাড়াও গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালগুলিতেও প্রয়োজন মতো একাধিক অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রাখা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, “কোন ফান্ডের টাকায় সিলিন্ডার কেনা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নই।” জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) স্বপন মজুমদার বলেন, “এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে আমরা সব রকম ভাবে সাহায্য করব। যে সব স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না করা হয়, সেখানে এই অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রাখা খুবই জরুরি।” |