|
|
|
|
মারধর-ছিনতাই, ধৃত ৯ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সোনা-রূপোর গয়না, টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পটাশপুর থানা এলাকার বহড়দা গ্রামের কাছে ওই ছিনতাইকারীদের মারে জখম হয়েছেন পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর জখম দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পটাশপুর থানার ওসি বিপ্লব হালদার বলেন, “ওই রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে এলাকায় বিভিন্ন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় খোয়া যাওয়া কাঁসার বাসন, সোনা-রূপোর গয়না উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের বাড়ি থেকে। পটাশপুরের বাইরের কয়েকজনও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” এগরা-খড়্গপুর রোডের বেলদার জাহালদা থেকে এগরা-বাজকুল রোডের পটাশপুরের খাড় পর্যন্ত দুই রাস্তার সংযোজক এলাকা, বহড়দার কাছে পথচারীদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রসঙ্গত, এলাকায় ওই রাতের ঘটনা নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার মারধর করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-৮টার মধ্যে তিন দফায় পাঁচ জনের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতী দলটি। আহতদের বাড়ি পটাশপুর থানা এলাকারই খাড়, বহড়দা ও কৈমাড়া গ্রামে। অভিযোগ, ছিনতাইকারীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে নগদ টাকা, সোনার গয়না, মোবাইল, ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। আহতদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরাই আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যান এগরা মহকুমা হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া চটির সূত্র ধরে তদন্ত এগোয়। এ দিকে, আহতদের কাছ থেকে গোটা ঘটনাটি শুনে গ্রামবাসীরা অনুমান করেন গ্রামেরই একপ্রান্তে বসবাসকারী ৭টি পরিবার এই ঘটনায় যুক্ত। খাড় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশোক দাস বলেন, “কয়েকদিন আগে সেখানে বাইরের কিছু লোক এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিন ওই ৭টির মধ্যে শুকলাল সরেনের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া চটির অন্য একটি পাটি গ্রামবাসীরা পেয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” শুকলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় বাসিন্দা বঙ্কুম সরেন-সহ আরও কয়েকজনের নাম জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো শুক্রবার সকালে গ্রামের ওই ৭টি বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। বঙ্কুম সরেনের বাড়ি থেকে সোনা-রূপোর গয়না-সহ নানা জিনিস উদ্ধার হয়। পরে গ্রামবাসীরা সন্দেহজনক ১৬ জনকে স্থানীয় বহড়দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আটক ১৪ জন চুরি-ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে চুরি করা জিনিসের সন্ধান দিলে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রামবাসীরা এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর এবং এলাকার মানুষকে নিয়ে রাত পাহারার দাবি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|