|
|
|
|
নেদাবহড়ায় সভা শুভেন্দুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
কিছু দিন আগে পর্যন্ত মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ নেদাবহড়ায় সভা করে গেলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন হাজার দু’য়েক মানুষ। সভায় শুভেন্দু বলেন, “কিছুদিন আগেও এখানে মাওবাদীরা রাস্তায় মাইন পুঁতে রাখত। একের পর এক খুন, সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। জোর করে মহিলা-সহ গ্রামবাসীকে মাইলের পর মাইল মিছিলে হাঁটানো হয়েছে। জন জাগরণের মাধ্যমে আমরা সন্ত্রাস মুক্তি ঘটিয়ে আজ এখানে সভা করছি। তবে বিষধর সাপ শীতকালে গর্তে ঢুকে থাকলেও, বর্ষায় ফের নড়েচড়ে বসে। বিষধর সাপের সঙ্গে আপনারা যে আচরণ করেন, ওদের সঙ্গেও তাই করবেন।” শুভেন্দুর অভিযোগ, “ওদের কেউ কেউ আবার মাথা তুলছেন। নেদাবহড়া অঞ্চলের ১২টি গ্রামের মানুষকে নিয়ে এই সভা ডাকা হয়েছিল, ৭টি গ্রামের লোকজন এসেছেন। ৫টি গ্রামের লোকজনকে ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আমাদের সভায় আসতে দেওয়া হয়নি।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
বস্তুত পক্ষে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম ব্লকে মাওবাদীদের মূল ঘাঁটি ছিল নেদাবহড়ায়। মাওবাদীদের মদতপুষ্ট ‘নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি’র নেত্রী জ্যোৎস্না মাহাতো তৃণমূল সমর্থিত ‘জন জাগরণ মঞ্চে’ যোগ দেওয়ার পরই নেদাবহড়া অঞ্চলে মাওবাদী বিরোধী বাইক-র্যালি ও মিছিল করেন মঞ্চের কর্মী-সমর্থকেরা। গত ২৮ ডিসেম্বর নেদাবহড়া অঞ্চলের ঘৃতখাম গ্রামে মাওবাদী-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ৫ জনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গ্রামবাসী। এ দিন ঘৃতখামের ঘটনার উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ঘৃতখামের ওই ৫ জনের মতো এলাকার মাওবাদী মদতদাতাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।” নেদাবহড়া অঞ্চলের পরিস্থিতির এখন ‘পরিবর্তন’ হয়েছে জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, এলাকার পরিবর্তন হলেও এখনও কেউ কেউ আছেন যাঁদের পরিবর্তন হয়নি। তাঁরা মাওবাদী-কমিটির হয়ে কাজ করছেন। প্রশান্ত দাসের মতো সিপিএমের হার্মাদেরা ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ধারাবাহিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমেই এলাকাকে সম্পূর্ণ ভাবে সন্ত্রাসমুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “অনেকটা এগোতে পেরেছি। এগোচ্ছিও।”
জোট-শরিক কংগ্রেসের সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “আমি রাজ্য রাজনীতির কথা বলতে পারব না। জঙ্গলমহলের যে লড়াইটা হয়েছিল তাতে স্থানীয় মানুষকে নিয়ে তৃণমূল একাই লড়েছিল। অন্য কাউকে আমাদের প্রয়োজন হয়নি।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, তৃণমূলের জেলা নেতা নির্মল ঘোষ, প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। এ দিকে, শুক্রবার জামবনির কেন্দুয়ার জঙ্গল লাগোয়া পিচরাস্তার ধারে পুঁতে রাখা একটি ক্যান-মাইন (কৌটো ভর্তি বিস্ফোরক) উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। এ দিন দুপুরে সিআরপিএফের জওয়ানেরা স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় ক্যানটি দেখতে পান। ক্যানটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বম্ব স্কোয়াড এসে ক্যানটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। |
|
|
|
|
|