|
|
|
|
স্পিনিং মিল খোলার দাবিতে থালা হাতে আন্দোলন সিটুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
হুগলির শ্রীরামপুরের স্পিনিং মিল অবিলম্বে খোলার দাবিতে শুক্রবার থালা হাতে প্রশাসনিক দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসকের কাছে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের সিমলায় দিল্লি রোডের ধারে ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল’টি রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত কয়েক বছর ধরেই মিলটি ধুঁকছিল। দীর্ঘদিন ধরে মিলের ভিতরে-বাইরে শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হয়নি। উল্টে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর মাস থেকে শ্রমিকদের বেতনও বন্ধ। মেলেনি দুর্গাপুজোর বোনাস বা অন্যান্য প্রাপ্য সুবিধা। এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছেন মিলের ৫৪২ জন শ্রমিক। |
|
ছবি: প্রকাশ পাল। |
মিলটিতে দ্রুত উৎপাদন চালু এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন একযোগে আন্দোলন করছে। সিটুও একই দাবিতে পথে নেমেছে। মিলের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন সিটু নেতৃত্ব। ওই মিলের সিটু ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বিশ্বাস বলেন, “মিলটি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই চক্রান্ত বন্ধ করে অবিলম্বে উৎপাদন চালু করা হোক। মিল লাভজনক এবং স্বনির্ভর করতে সরকার বা কর্তৃপক্ষ যে পদক্ষেপই করুন, শ্রমিকরা সর্বতো ভাবে সাহায্য করবেন। কিন্তু সরকারের কোনও সদর্থক ভূমিকাই চোখে পড়ছে না।” সিটুর অভিযোগ, বেতন না পেয়ে শ্রমিকেরা এখন কেউ রিকশা চালাচ্ছেন, কেউ দিনমজুরি করছেন। তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা।
তৃণমূল এবং কংগ্রেস অবশ্য কারখানার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পূর্বতন বাম সরকারকেই অভিযুক্ত করছে। কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক দিলীপ নাথ বলেন, “বাম সরকারের অপদার্থতাতেই মিলটি ধীরে ধীরে রুগ্ণ হয়েছে। অনেক টাকা দেনা করে গিয়েছে ওরা। ওদের ব্যর্থতাতেই উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকেরা না খেতে পেয়ে মরছে। আর সিটু এখন লোক-দেখানো রাজনীতি করছে।” মিলের আইএনটিটিইউসি-র সম্পাদক অমল রায়ের দাবি, “সম্প্রতি নতুন রাজ্য সরকারের তরফে কিছু টাকা এসেছে। ওই টাকায় শ্রমিকদের বেতন যাতে দেওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়া চলছে। সরকার মিলটি পুনরুজ্জীবনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উৎপাদন অবিলম্বে চালুর জন্য আমরা বারে বারেই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছি।” |
|
|
|
|
|