|
|
|
|
খানাকুলে রামমোহন মেলায় গরহাজির বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
এত দিন যা ছিল বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ তথা বাম নেতৃত্বের দায়িত্বে, রাজ্যে ‘পরিবর্তিত’ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই অনুষ্ঠানের ‘রাশ’ অবশ্যম্ভাবী ভাবে চলে এসেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের হাতে।
খানাকুলের রামমোহন মেলাকে কেন্দ্র করে এই ‘পরিবর্তন’ চোখে পড়ার মতোই। খানাকুল ১ ব্লকের রাধানগর রাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুক্রবার থেকে শুরু হল রামমোহন মেলা। রাজনৈতিক সন্ত্রাসদীর্ণ খানাকুলে ঐতিহ্যশালী এই মেলা দু’দফায় দু’বছর করে বন্ধ থেকেছে। সম্প্রতি সর্বদল বৈঠক ডেকে ফের এ বছর চালু করা গিয়েছে মেলা। কিন্তু এত দিন যেখানে বাম নেতাদের ভূমিকাই ছিল প্রধান, এ বার চিত্রটা একেবারেই আলাদা।
মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসেছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মেলা কমিটির সম্পাদক পুড়শুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান। সভাপতি খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ। |
|
ছবি: মোহন দাস। |
মেলার আমন্ত্রণ পত্রে নাম ছাপা হয়েছিল আরামবাগের সিপিএম সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের। যদিও তাঁর দাবি, তাঁকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানোই হয়নি। সে কথা অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূল নেতারা। গোঘাটের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু ‘কাজ থাকায়’ আসতে পারেননি। বস্তুত, সিপিএম তথা বামেদের কোনও নেতাই এ দিন মেলায় আসেননি। প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতি ছিল। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের ‘আবেগ-উচ্ছ্বাস’ই ছিল চোখে পড়ার মতো। পার্থবাবু বলেন, “রাজ্য সরকার মণিষীদের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রামমোহনের নামাঙ্কিত এই ঐতিহ্যবাহী মেলা ফের চালুর ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করি।” উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মেলায় শ’চারেক স্টল তৈরি হয়েছে। মেলা চলবে ১০ তারিখ পর্যন্ত। |
|
|
|
|
|